চট্টগ্রাম নগরীর পাহাড়ে অবৈধ ও ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের সরিয়ে দিতে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছে প্রশাসন। সোমবার (১৪ জুন) বেলা ১১টার দিকে লিংক রোডের বায়েজিদ অংশ থেকে এ অভিযান শুরু হয়েছে। ছয় জন ম্যাজিস্ট্রেট তিনটি দলে ভাগ হয়ে অভিযান পরিচালনা করছেন।

লিংক রোডের কাট্টলী অংশে অভিযান পরিচালনা করেছেন চান্দগাঁও সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মামনুন আহমেদ অনীক ও চান্দগাঁও সার্কেল ও কাট্টলী সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুহাম্মদ ইনামুল হাসান।

সহকারী কমিশনার (ভূমি) মামনুন আহমেদ অনীক ঢাকা পোস্টকে বলেন, বায়েজিদ লিংক রোডের দুই পাশে অবৈধ যেসব স্থাপনা আছে সব উচ্ছেদ করা হচ্ছে। লিংক রোডের কাট্টলী, হাটহাজারী ও সীতাকুণ্ড অংশে ছয় জন ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে একযোগে উচ্ছেদ অভিযান চলছে।

অভিযানে বিপুল সংখ্যক পুলিশ, র‌্যাব ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা অংশ নিয়েছেন। এছাড়া পরিবেশ, বিদ্যুৎ বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্রতিনিধিরা উপস্থিত আছেন।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, জেলায় সরকারি ও ব্যক্তি মালিকানাধীন ১৭টি অতি ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ে ৮৩৫টি পরিবার বসবাস করছে। অত্যধিক ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তি মালিকানাধীন ১০টি পাহাড়ে অবৈধভাবে বসবাসকারী পরিবারের সংখ্যা ৫৩১টি। সরকারি বিভিন্ন সংস্থার মালিকানাধীন সাতটি পাহাড়ে অবৈধ বসবাসকারী পরিবারের সংখ্যা ৩০৪টি।

এগুলোর বাইরেও সিডিএর বায়েজিদ–ফৌজদারহাট লিংক রোড নির্মাণের সময় নতুন করে ১৬টি পাহাড় কাটা হয়। সেখানকার আট পাহাড়ে নতুন করে অবৈধ বসতি গড়ে উঠেছে। এসবের মধ্যে আজ (সোমবার) প্রথম দিনের অভিযানে বায়েজিদ লিংক রোডে অবৈধভাবে তৈরি করা ঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনাগুলো উচ্ছেদ করা হচ্ছে।

পরিবেশবিদরা বলছেন, চট্টগ্রামের বিভিন্ন পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীর সংখ্যা প্রায় এক লাখ। ২০০৭ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত চট্টগ্রামে পাহাড় ধসে দুই শতাধিক মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। এর মধ্যে পাহাড় ধসে সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা যায় ২০০৭ সালে। ওই বছরের ১১ জুন টানা বর্ষণের ফলে চট্টগ্রামে পাহাড় ধসে ১২৭ জনের মৃত্যু হয়। আর ২০১৭ সালে মারা যান ৩০ জন।

কেএম/এসএসএইচ