গত ৬ বছরে প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও’র) মাধ্যমে ৬৮টি প্রতিষ্ঠান পুঁজিবাজার থেকে চার হাজার ৮৩১ কোটি টাকার মূলধন সংগ্রহ করেছে বলে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জানিয়েছেন।

সোমবার (১৪ জুন) জাতীয় সংসদে উত্থাপিত চট্টগ্রাম-১১ আসনের এম আবদুল লতিফের এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী এ তথ্য জানান। জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।

এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ২০১৪-১৫ অর্থ বছর থেকে ২০২০-২১ অর্থ বছর (৩ জুন ২০২১ পর্যন্ত) পুঁজিবাজারে ৬৮টি কোম্পানিকে আইপিও’র মাধ্যমে চার হাজার ৮৩১ কোটি এবং একটি কোম্পানিকে কোয়ালিফাইড ইনভেস্টর অফারের মাধ্যমে সাড়ে ৭ কোটি টাকার মূলধন পুঁজিবাজার হাতে উত্তোলনের জন্য চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বর্তমানে ৫ কোম্পানির আইপিও ও চার কোম্পানির কোয়ালিফাইড ইনভেস্টর অফারের আবেদন অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।

বগুড়া-৬ আসনের গোলাম মোহাম্মদ সিরাজের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বিগত এক দশকের ক্রমাগত উচ্চ জিডিপি প্রবৃদ্দি অর্জন কোভিড-১৯ এর প্রভাবে সাময়িক বাধাগ্রস্ত হয়েছে। গত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে রেকর্ড ৮ দশকি ১৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হলেও ২০১৯-২০ অর্থবছরে করোনাভাইরাসের কারণে তা কমে ৫ দশমিক ২ শতাংশে দাঁড়ায়।

তিনি বলেন, দেশে কোভিডের প্রাদুর্ভাবের সঙ্গে সঙ্গেই প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্ব, দুরদর্শিদতা ও নিরলস কর্মতৎপরতায় বাংলাদেশের সার্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি তেমন বিপর্যয়ের মধ্যে পড়েনি। বরং বাংলাদেশ কোভিড-১৯ মহামারির অর্থনৈতিক প্রভাব মোকাবিলায় বিশ্বে সাফল্যের এক অনন্য নজির স্থাপন করেছে।

এইউএ/এসএম