শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান বলেছেন, করোনাকালীন কাজের স্বীকৃতি হিসেবে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) পরিচালনা পর্ষদের উপসদস্য পদে সর্বোচ্চ ভোটে নির্বাচিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৫ জুন) এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন। 

শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী ও সময়োপযোগী সিদ্ধান্তে করোনা মোকাবিলায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে কলকারখানায় উৎপাদন ব্যবস্থা ঠিক রাখা হয়েছে। শ্রমিকদের স্বাস্থ্য ও জীবনমান সুরক্ষার জন্য এই আন্তর্জাতিক সংস্থায় বাংলাদেশের এই প্রাপ্তি। এটি প্রধানমন্ত্রীরই কৃতিত্ব।

সোমবার জেনেভায় আইএলওর  শ্রম সম্মেলনের ১০৯তম অধিবেশনে এই নির্বাচন বাংলাদেশের পক্ষে ভোট পড়েছে ২০১টি। এশীয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বাংলাদেশ সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছে। আগামী ২০২৪ সাল পর্যন্ত আইএলওর পরিচালনা পর্ষদের সদস্য হিসেবে মর্যাদা অক্ষুণ্ণ থাকবে।

বিবৃতিতে শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, করোনা মোকাবিলায় গত বছর করোনা মহামারির শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শ্রমিকদের বেতন-ভাতা নিশ্চিতে প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেন। শ্রমিকদের বেতন-ভাতা নিশ্চিত করেন। দেশের সব মানুষকে সুরক্ষায় ৩১ দফা নির্দেশনা দেন। 

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মেনে আমরা সারা দেশে মাঠ পর্যায়ে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতর এবং শ্রম অধিদফতরের কর্মকর্তা, মালিক ও শ্রমিক প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে ২৩টি বিশেষ ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট কমিটি গঠন করেছি। কমিটির সদস্যরা আইএলওর সহযোগিতায় তৈরি করা পেশাগত স্বাস্থ্য সুরক্ষা নির্দেশিকা ও সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক পোস্টার কারখানা পর্যায়ে বিলি করছেন।

আইএলওর পরিচালনা পর্ষদে এটি বাংলাদেশের টানা তৃতীয় জয়। এর আগে ২০১৪-২০১৭ ও ২০১৭-২০২১ মেয়াদেও আইএলওর পরিচালনা পর্ষদের উপসদস্য হিসেবে সফলতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে বাংলাদেশ। নির্বাচিত হওয়ার ফলে স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উত্তরণের পর শুল্কমুক্ত রফতানি সুবিধা বহাল রাখার ক্ষেত্রে সদস্যদের সমর্থন আদায়ে সুবিধা পাবে বাংলাদেশ। শ্রম প্রতিমন্ত্রীর নেতৃত্বে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অংশ নেন মন্ত্রণালয়ের সচিব কে এম আব্দুস সালাম, জেনেভায় জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মোস্তাফিজুর রহমান।

এসএইচআর/ওএফ