ঢাকা মহানগরীতে ইজিবাইক, ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধে মেট্রোপলিটন পুলিশ ও দুই সিটি করপোরেশনকে কঠোর হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। 

মঙ্গলবার (২২ জুন) ঢাকা যানবাহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ ডিটিসিএ'র বোর্ড সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান। 

ওবায়দুল কাদের তার সরকারি বাসভবন থেকে ভার্চুয়ালি সভায় যুক্ত হন।

কাদের বলেন, ডিটিসিএ প্রদত্ত বহুতল ভবনের জন্য ট্রাফিক ক্লিয়ারেন্স ছাড়পত্র গ্রহণের বিষয়টি আইনগত বিধি-বিধানের আওতায় রাজউকের সঙ্গে আলোচনা করে নিষ্পত্তি করতে হবে। সমন্বয়হীনভাবে ঢাকা সিটি করপোরেশন এলাকায় সড়ক খনন করা যাবে না।

এ সময় ইনার রিং রোডের ইস্টার্ন বাইপাস এবং ওয়েস্টার্ন অংশের হালনাগাদকরণে ডিটিসিএ'র মাধ্যমে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের সঙ্গে আলোচনা করে প্রকল্প প্রস্তাব চূড়ান্ত করার আহ্বান জানান মন্ত্রী।  

তিনি বলেন, উন্নয়ন-অর্জনে সারা বিশ্বকে শেখ হাসিনা তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু ঢাকা শহর কেনো পিছিয়ে থাকবে? এ বিষয়ে ডিটিসিএ-কে ঢাকার দুই মেয়রকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করার আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের।

ডিটিসিএ'র বোর্ড সভায় এসময় ভার্চুয়ালি যুক্ত হন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম, দক্ষিণের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, নারায়ণগঞ্জ সিটি মেয়র সেলিনা হায়াত আইভি, সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু, সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি, ডিটিসিএ'র নির্বাহী পরিচালক খন্দকার রাকিবুর রহমানসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিব ও ডিএমপি কমিশনার।

পরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সমসাময়িক রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে কথা বলেন।

তিনি বলেন, এদেশের রাজনীতিতে হিংস্রতা আর ষড়যন্ত্রের হোতা বিএনপি। শেখ হাসিনা সরকার কর্তৃত্ববাদী নয়, কারো ওপর হিংস্র আচরণও করেনি। বরং প্রধানমন্ত্রী বিরোধীদলের বিভিন্ন উসকানির মুখে অত্যন্ত সহনশীলতা ও ধৈর্যের পরিচয় দিয়ে যাচ্ছেন। 

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে সঙ্গে নিয়ে বিএনপিই দানবীয় আচরণ করছে। শত উসকানির বিপরীতে শেখ হাসিনা সরকার অত্যন্ত সহনশীলতার সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলা করছে।

আওয়ামী লীগ নাকি হিংস্র, বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের পাল্টা প্রশ্ন রেখে বলেন, যাদের হাতে ২১ হাজার আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী হত্যার শিকার হয়েছে, তারা আজ আওয়ামী লীগকে হিংস্রতার কথা বলে! বিএনপি দেশে স্থিতিশীলতা চায় না। তারা চায় দেশে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে।

তিনি বলেন, আন্দোলনের নামে জনগণ ও রাষ্ট্রের সম্পদ নষ্ট করাই বিএনপির রাজনীতি। জনগণের প্রতি রাজনৈতিক দল হিসেবে যে দায়িত্বশীলতা রয়েছে তা পালনে বিএনপি অনেক আগেই ব্যর্থ হয়েছে।  

বিএনপি নেতাদের উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগের এই শীর্ষ নেতা বলেন, শেখ হাসিনার উদারতা দেখে ভাববেন না এটা আমাদের দুর্বলতা। নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় যেতে পারবে না বুঝতে পেরে বিএনপি যে নানামুখী ষড়যন্ত্র করছে, তা কারো অজানা নয়। নির্বাচন ছাড়া সরকার গঠনের আর কোনো বিকল্প পথ নেই, এটাই সংবিধান সম্মত পথ।

এ সময় বিএনপিকে মিথ্যাচার আর ষড়যন্ত্রের পথ ত্যাগ করে জনগণের জন্য রাজনীতি করার আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের। 

তিনি বলেন, জনগণ চাইলেই নির্বাচিত হবেন এবং সরকার গঠন করবেন। আওয়ামী লীগ জনগণের ক্ষমতায়নে বিশ্বাস করে বলেই জনগণের প্রতি আস্থাশীল।

এইউএ/জেডএস