বুনিয়া সোহেল | ছবি- সংগৃহীত

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জেনেভা ক্যাম্পে শীর্ষ মাদক কারবারি বুনিয়া সোহেলকে ধরে নিয়ে গণপিটুনি ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছে প্রতিপক্ষ মাদক কারবারিরা। মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে চলা দ্বন্দ্বের জেরেই এই হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে জানা যায়।

শনিবার (২৯ নভেম্বর) সন্ধ্যার দিকে মুমূর্ষু অবস্থায় বুনিয়া সোহেলকে উদ্ধার করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে সেখানে তার চিকিৎসা চলছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জেনেভা ক্যাম্পে শীর্ষ মাদক কারবারি বুনিয়া সোহেল গ্রুপ এবং পিচ্চি রাজা গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছিল। এরই জেরে দুই গ্রুপের মাঝে এর আগে গোলাগুলি, ককটেল বিস্ফোরণ, হামলা ও বাড়িঘর ভাঙচুরের মতো ঘটনা ঘটে।

সম্প্রতি বুনিয়া সোহেলের ভাই টুনটুন এবং সহযোগী এসকে নাসিম গ্রেপ্তার হলে বুনিয়া সোহেল কার্যত দুর্বল হয়ে পড়েন। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে ৪ নম্বর সেক্টরের মাদক কারবারিরা আজ সন্ধ্যায় তার ওপর হামলা চালায়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চুয়া সেলিম, পিচ্চি রাজা, পাড় মনু, শাহ আলম, ইমতিয়াজ, লালন, রনি, তারেক, মাওরা রাসেল, টুকি, সামির, বিকি, ফেরদৌস, নেতা সামির, চেম্বার রাজ, সুমন, আদিল, ফাইজান, নওশাদ, বেলুনসহ আরও অনেকে বুনিয়া সোহেলকে ধরে নিয়ে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। এর পেছনে শীর্ষ হেরোইন সাপ্লাইয়ার আরিফ ওরফে ‘চাপা আরিফের’ ইন্ধন রয়েছে বলে জানা যায়।

পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনী খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেলে নিয়ে যায়। তবে গুরুতর আহত বুনিয়া সোহেলকে উদ্ধারে গিয়ে ৪ নম্বর সেক্টরের মাদক কারবারিদের হামলার মুখে পড়তে হয় পুলিশকে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তেজগাঁও বিভাগের মোহাম্মদপুর জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন। তিনি জানান, সন্ধ্যা ৭টার কাছাকাছি সময়ে খবর পেয়ে ৪ নম্বর সেক্টরে গিয়ে বুনিয়া সোহেলকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে পুলিশ ও সেনাবাহিনী। তার শরীরে একাধিক ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন এবং গুরুতর মারপিটের চিহ্ন রয়েছে।

এসি আব্দুল্লাহ আল মামুন আরও বলেন, তাকে কারা ধরে এনে এভাবে রক্তাক্ত করেছে, তা এখন পর্যন্ত জানা যায়নি। তার জ্ঞান ফিরলে বিষয়টি পরিষ্কার হবে।

এসএএ/বিআরইউ