টাঙ্গাইল বন বিভাগের মধুপুর অঞ্চলে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ও স্থানীয় বাঙালিদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া ৮৮টি বন মামলা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে মোট ১৩৬টি মামলার অবশিষ্ট ৪৮টির অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা আগামী এক বছর পর শর্তসাপেক্ষে প্রত্যাহার করা হবে।

বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। 

টাঙ্গাইল বন বিভাগের আওতায় মধুপুর বনে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ও স্থানীয় বাঙালিসহ ৫০৩ জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাগুলো পর্যালোচনা করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সভায় আরও সিদ্ধান্ত হয়– মধুপুর বনের চারটি রেঞ্জের ১০টি বনবিটে বিট কর্মকর্তার নেতৃত্বে চার সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হবে। এসব কমিটিতে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর দুইজন এবং স্থানীয় সহব্যবস্থাপনা কমিটির দুইজন সদস্য থাকবেন। বন অপরাধ কমানো এবং বিরোধ নিষ্পত্তিতে এসব কমিটি কার্যকর ভূমিকা রাখবে। এ ছাড়া সভায় বন বিভাগকে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর গো-চারণ, পানি ও ভূমি ব্যবহারের অধিকার নিশ্চিত করার নির্দেশনা দেওয়া হয়।

সভায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ) ড. ফাহমিদা খানম, প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরীসহ আইন মন্ত্রণালয়, ভূমি মন্ত্রণালয়, বন অধিদপ্তরের প্রতিনিধি এবং মধুপুরের জয়েনশাহী আদিবাসী উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবকে (উন্নয়ন) আহ্বায়ক করে গঠিত ০৮ (আট) সদস্য বিশিষ্ট কমিটি সুপারিশ মোতাবেক মামলা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। মোট ১৩৬টি মামলায় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর অভিযুক্ত সংখ্যা ৩১৫ জন এবং স্থানীয় বাঙালি অভিযুক্তের সংখ্যা ১৮৮ জন, সর্বমোট ৫০৩ জন।

এসএইচআর/বিআরইউ