‘কভিড-১৯ ভ্যাকসিন ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক সংলাপ অনুষ্ঠান

করোনাসহ বিভিন্ন ভাইরাস প্রতিরোধে নিজেদেরই টিকা আবিষ্কারে সক্ষমতা বাড়াতে হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ফার্মাকোলজিক্যাল সোসাইটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান। তিনি বলেন, আমদানি করা টিকা আজীবন প্রতিরোধ নিশ্চিত করবে না। তাই টিকা আবিষ্কারে নিজেদের সক্ষমতার বিকল্প নেই।

শনিবার (৯ জানুয়ারি) দুপুরে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) কনফারেন্স রুমে ‘কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক আয়োজিত সংলাপ অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনের সময় তিনি এ কথা বলেন।

সায়েদুর রহমান বলেন, নিজেরা ভ্যাকসিন উৎপাদন করা যায় কি না তা এখনই ভাবতে হবে। না হলে ভ্যাকসিন নিশ্চিত করতে বাজেটের বড় অংশ চলে যাবে।

তিনি বলেন, বিশ্বের অনেক দেশে করোনাভাইরাসের টিকা প্রয়োগ শুরু হয়েছে। বেশির ভাগ দেশেই দেওয়া হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ফাইজার ও জার্মান ভিত্তিক বায়ো-এনটেক উদ্ভাবিত টিকা। এছাড়া প্রয়োগের পর্যায়ে এসেছে যুক্তরাষ্ট্রের আরেক ওষুধ প্রতিষ্ঠান মডার্নার টিকা। করোনা প্রতিরোধে কার্যকর টিকা এনেছে রাশিয়া এবং চীনও। কিন্তু বাংলাদেশ আস্থা রাখছে অক্সফোর্ড ও অ্যাস্ট্রাজেনেকা উদ্ভাবিত টিকার ওপর। ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটের মাধ্যমে আপাতত এই টিকার তিন কোটি ডোজ দেশে আনার প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে সরকার। এবার টিকা আসার পালা।

টিকা বণ্টন ব্যবস্থাপনায় গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হয়ে উঠেছে ভ্যাকসিন ব্যবস্থাপনার বিষয়টি। বিষয়গুলো নিয়ে নানা প্রশ্ন, কৌতুহল, সংশয় বড় হয়ে উঠছে। ভ্যাকসিন কারা পাবে তা বিজ্ঞানভিত্তিক উপায়ে নিশ্চিত করতে হবে। সুষ্ঠু বণ্টন করতে হবে, যাতে মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিতি ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক এবিএম খোরশেদ আলম, অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা, বিএমএ সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, বিএমএর সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ডা. রশিদ-ই-মাহবুব, মহাপরিচালক স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক অধ্যাপক ডা. এম এ ফয়েজ, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ডাক্তার এম ইকবাল আর্সলান।

টিএ/এইচকে