‘সীমান্তে টাওয়ার বসিয়ে তথ্য নিচ্ছে মিয়ানমার’ এ শিরোনামে ঢাকা পোস্ট প্রকাশিত অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন জানিয়েছেন, ‘অনেক দিন ধরে মিয়ানমারের সঙ্গে আমাদের আলাপ হচ্ছে না, বিশেষ করে সেনা সমর্থিতরা ক্ষমতায় আসার পর। আমাদের সঙ্গে তাদের সরাসরি কোনো যোগাযোগ নাই। আমরা অবস্থার পর্যবেক্ষণ করছি। এটা আমরা অবজারবেশন করছি, দেখা যাক কী হয়।’

বুধবার (৩০ জুন) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ফরেন সার্ভিস ডিবেট ক্লাবের অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এসব কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

ড. মোমেন বলেন, ‘আমরা একবার সিম কার্ডগুলোকে সীমিত করার জন্য ৪জি বাতিল করেছিলাম। এতে ইউএনএইচসিআর, হিউম্যান রাইটস, এমনকি আমেরিকার দলবল এটা নিয়ে কথা বলেছে। তাদের বক্তব্য হলো, ৪জি বন্ধ করার ফলে তারা যোগাযোগ ঠিক মতো করতে পারবে না। আমরা ওনাদের জানালাম, টুজি বা থ্রিজিতে আলাপ করা যাবে। ইউএনএইচসিআরসহ যারা ক্যাম্পে কাজ করে তারা সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা অবধি ওখানে থাকেন, তবুও তারা চান সবসময় ওখানে ৪জি খোলা থাকুক। আমরাও ছেড়ে দিলাম।’

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ৪জি থাকলে অপরাধ বাড়ে জানিয়ে মোমেন বলেন, ‘৪জি হলে ওখানে ক্রাইম এক্টিভিটি বাড়ে। ৪জি হলে তারা মেয়েদের ছবিটবি তুলে পাচার করে, অন্য জায়গায় এবং সেখানে বিয়ে দেয়, তারপর ট্রাফিকিং করে। তাছাড়া ইয়াবা বা বিভিন্ন ড্রাগসের ক্ষেত্রে তাদের সুবিধা হয়।’

রোহিঙ্গাদের মধ্যে কিছু দুষ্টু লোক এমন অনৈতিক কর্মকাণ্ড করে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘রোহিঙ্গারা অধিকাংশই ধনী না। একটা ৪জির সেট কিনতে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা লাগে। সুতরাং ৪জি খুব বেশি রোহিঙ্গারা ব্যবহার করে না। কিছু দুষ্টু লোকেরা এটা ব্যবহার করে। আর তারাই বিভিন্ন ক্রাইম করে।’

গত ২৮ জুন নিউজ পোর্টাল ঢাকাপোস্ট-এ ‘সীমান্তে টাওয়ার বসিয়ে তথ্য নিচ্ছে মিয়ানমার’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরপর বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন মহলে আলোচনা শুরু হয়। মঙ্গলবার সংসদের আলোচনায়ও উঠে আসে সীমান্তের মোবাইল টাওয়ারের মাধ্যমে তথ্য চুরি ও পাচারের কথা।

এনআই/এসএম/জেএস