যুবদল নেতা মিয়া মো. হারুন খান

স্কুলে বিয়ের অনুষ্ঠান আয়োজনের অনুমতি না দেওয়ায় চট্টগ্রামে এক প্রধান শিক্ষককে লাঞ্ছিত করা হয়েছে। নগরীর ডবলমুরিং থানার মনসুরাবাদ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পর অভিযুক্ত একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তির নাম মো. হারুন খান। তিনি স্থানীয় যুবদল নেতা। 

রোববার (৪ জুলাই) ডবলমুরিং থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামিদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ডবলমুরিং থানার মনসুরাবাদ এলাকার খান সাহেব আব্দুল হাকিম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. নিজাম উদ্দিন। একই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মো. একরাম মিয়া। স্কুলে মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য অনুমতি চান একরাম মিয়া, কিন্তু অনুমতি দেননি প্রধান শিক্ষক। অনুমতি ছাড়াই গত ২৫ জুন জোর করে  স্কুলে বিয়ের আয়োজন করেন তিনি। কিন্তু গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সে বিয়ে বন্ধ করে দেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। এরপর শিক্ষকদের স্কুলে আসতে মানা করে দেন একরাম মিয়া।

এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক শিক্ষা বোর্ডে অভিযোগ করলে গত ৩০ জুন পাঁচলাইশ ও ডবলমুরিং থানা শিক্ষা অফিসার মো. শফিউল আলমের নেতৃত্বে একটি তদন্ত দল স্কুলে আসে। এ সময় প্রধান শিক্ষকসহ আরও কয়েকজন শিক্ষকও বিদ্যালয়ে আসেন। তাদের আসতে দেখেই জোরপূর্বক স্কুলে ঢোকেন একরাম মিয়ার ভাই চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সহ-সভাপতি মিয়া মো. হারুন খান। তার সঙ্গে যোগ দেন আরেক ভাই জানে আলম, স্থানীয় তরুণ মো. মাসুদ, মো. প্রিন্স ও আল নাহিয়ান। তারা প্রধান শিক্ষকের কক্ষে ঢুকেই অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন। এক পর্যায়ে টেবিল চাপড়ে প্রধান শিক্ষককে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন তারা।

ডবলমুরিং থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন জানান, এ ঘটনায় গতকাল শনিবার (৩ জুলাই) প্রধান শিক্ষক মামলা দায়ের করলে রাতেই প্রধান আসামি যুবদল নেতা মিয়া মো. হারুন খানকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় বাকি আসামিরা আত্মগোপনে চলে যান। তাদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

কেএম/এসকেডি/জেএস