লকডাউনের সঙ্গে মৃষলধারে বৃষ্টি। এ যেন ব্যবসায়ীদের জন্য ‘মরার ওপার খাঁড়ার ঘা’। গত কদিন টুকটাক বেচাকেনা হলেও রোববার (৪ জুলাই) যেন ব্যবসায়ীদের সর্বনাশের দিন। কারণ রাজধানীতে ভোর থেকে বৃষ্টিতে কারওয়ান বাজারে জমেছে হাঁটু পানি। তাতে ক্রেতা না আসায় কষ্টের মাত্রা বেড়েছে ব্যবসায়ীদের। 

রোববার (৪ জুলাই) কারওয়ান বাজারে সরেজমিন দেখা যায়, পানি জমে যাওয়ার কারণে বাধ্য হয়ে শতাধিক ব্যবসায়ীকে দোকান বন্ধ রাখতে হয়েছে। আবার যে কজন দোকান খোলা রেখেছেন, তাদের অনেকের মালামাল ভিজে নষ্ট হয়ে গেছে। সকালে ক্রেতার আশায় বসে থাকলেও বাজারমুখী হননি কেউ। ব্যবসায়ীরা অনেকেই গল্প করছেন, কেউ বা মোবাইলে গেমস খেলে, গান গেয়ে সময় কাটাচ্ছেন।

এর মধ্যে দু'একটি দোকানে এক দু'জন ক্রেতা থাকলেও তাদের দামাদামিতে সীমাবদ্ধ থাকতে দেখা গেছে। ক্রেতার পানে চেয়ে ব্যবসায়ীরা সময় গুনছেন।

মুরগীর ব্যবসায়ী রমিজ উদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, আজ বেলা ১১টা পর্যন্ত দোকান বসাতে পারিনি। ১২টার দিকে পানির মধ্যেই দোকান সাজিয়েছি। কিন্তু এখনো কোনো বিক্রি হয়নি। তিনি বলেন, মুরগির দাম আজ কিছুটা কমেছে। আজ ব্রয়লার বিক্রি করছি ১৩০ টাকা কেজি দরে। আর সোনালী বিক্রি করছি ২০০ টাকা কেজি। কিন্তু ক্রেতাই তো পাচ্ছি না।  

মশলা ব্যবসায়ী নিলয় ঢাকা পোস্টকে বলেন, প্রতিদিন সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ৪ থেকে সাড়ে ৪ হাজার টাকা বিক্রি হলেও আজ দুপুর ১টা পর্যন্ত ৪০০ টাকাও বিক্রি হয়নি। সকালের নাস্তাটাও পর্যন্ত করতে পারিনি। একটু বৃষ্টি হলেই পানি জমে যায়। আজতো ভারী বৃষ্টি হয়েছে, হাঁটু পানি জমেছে।

কম্বল বিক্রেতা মিনহাজ ঢাকা পোস্টকে বলেন, বৃষ্টিতে আমাদের কয়েকটি কম্বল ভিজে গেছে। শনিবার (৩ জুলাই) সাত হাজার টাকা বিক্রি করেছি। আজকে বৃষ্টির কারণে দোকান সাজাতেই পারিনি। এক টাকাও বিক্রি হয়নি।

আরেক ব্যবসায়ী ঢাকা পোস্টকে বলেন, একটু বৃষ্টি হলেই এই এলাকার পানি জমে থাকে। আমরা অনেকবার বলেছি কিন্তু কাজ হচ্ছে না। আমাদের সর্বনাশ হচ্ছে। যেদিন বৃষ্টি হয় সেদিন ব্যবসা হয় না। কোনো আয় হয় না।

এমআই/জেডএস