পুরান ঢাকা নিয়ে নতুন স্বপ্ন দেখালেন মন্ত্রী
পুরান ঢাকাকে নতুনভাবে সাজানো হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। এছাড়া ঢাকার অদূরে তুরাগ নদের পাড়ে নতুন শহর তৈরি করা হবে বলেও জানান তিনি।
রোববার (১০ জানুয়ারি) রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ তথ্য জানান। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন।
বিজ্ঞাপন
মন্ত্রী বলেন, পুরান ঢাকাকে নতুনভাবে পুনর্নির্মাণ (বিল্ডিং) করার মাধ্যমে এমনভাবে সাজানো হবে, যেখানে সত্যিকার অর্থে দেখার মতো একটা শহর হবে। এটি করা হলে দেশের মানুষকে আর বিদেশে ভ্রমণ করতে হবে না। বরং বিদেশিরা ঢাকা শহর ভ্রমণ করতে আসবে।
তিনি বলেন, তুরাগ নদের তীরে পরিবেশসহ আধুনিক সকল সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত একটি অত্যাধুনিক দৃষ্টিনন্দন শহর তৈরির লক্ষ্যে কাজ চলছে। ঢাকা শহরের সকল খালগুলোকে দখলমুক্ত করে নগরবাসীকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও আধুনিক বাসযোগ্য শহর উপহার দিতে যতো চ্যালেঞ্জ আসুক না কেন, সব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করেই সবার স্বপ্নের ঢাকা বিনির্মাণ করা হবে।
বিজ্ঞাপন
ঠিকভাবে সংরক্ষণ না করার কারণে পুরান ঢাকার অনেক স্থাপনা হারিয়ে যাচ্ছে। তার সঙ্গে হারিয়ে যাচ্ছে ওই সব স্থাপনা সংশ্লিষ্ট সোনালি ইতিহাসও। পুরান ঢাকার প্রায় সমস্ত অলিগলি, রাস্তাঘাটের সঙ্গেই রয়েছে সোনালী এক অতীত। উইকিপিডিয়ার তথ্য অনুযায়ী, পুরান ঢাকা একসময় অত্যন্ত সুপরিকল্পিত, সুন্দর ও ছিমছাম একটি শহর ছিল। কিন্তু মুঘল শাসকদের পতনের পর থেকে পুরান ঢাকার ভাগ্যে বিপর্যয় নেমে আসে।
তিনি বলেন, যদি হাতিরঝিল থেকে বনানী, হাতিরঝিল থেকে ইউনাইটেড হাসপাতাল পর্যন্ত সংযোগ স্থাপন এবং অন্যান্য খালগুলোকে একটির সাথে অন্যটির সাথে সংযোগ করা যায় তাহলে অবশ্যই আমাদের ঢাকা বিদেশের চেয়েও দৃষ্টিনন্দন হবে। এমন একটি শহরেরই স্বপ্ন দেখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আর সে স্বপ্ন পূরণে আমরা সবাই নিরলসভাবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি।
দুই সিটি করপোরেশনে নতুন ওয়ার্ডগুলোতে নাগরিক সেবা সুনিশ্চিত করার জন্য পর্যাপ্ত বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে এবং ভবিষ্যতে আরও দেওয়া হবে বলেও জানান তাজুল ইসলাম।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণেই বঙ্গবন্ধুর গৃহীত উদ্যোগে ভারত ও মিয়ানমারের সাথে সীমান্ত এবং সমুদ্র সীমানার সমস্যা সমাধান করা সম্ভব হয়েছে। শেখ হাসিনার হাত ধরে ভারত এবং মিয়ানমারের সাথে সমুদ্র সীমানা সমস্যার সমাধান না হলে ভারত এবং মিয়ানমারকে ট্যাক্স না দিয়ে কোনো জাহাজ চট্টগ্রামে আসতে পারতো না।
তাজুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ আজ ক্ষমতায় বলেই বিশ্ব উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। দেশে আজ শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অর্থনৈতিক ও সামাজিকসহ সকল সূচকে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জিত হয়েছে।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক শেখ বজলুর রহমান এবং এস এম মান্নান কচি।
এসএইচআর/এনএফ