‘প্রকল্প প্রণয়নে অস্বাভাবিক মূল্য নির্ধারণ নয়’

প্রকল্পের কাজ পুরোপুরি শেষ না হওয়া ছাড়া অর্থ পরিশোধ করলে সংশ্লিষ্টদের দায়-দায়িত্ব নিতে হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। তিনি বলেন, প্রকল্প প্রণয়নে অস্বাভাবিক মূল্য নির্ধারণ করা যাবে না। 

রোববার (১০ জানুয়ারি) সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক পর্যালোচনা সভায় তিনি এ তথ্য জানান।

রেজাউল করিম বলেন, প্রকল্প পরিচালকদের কাছ থেকে স্বচ্ছতা, সততা ও নিষ্ঠা প্রত্যাশা করি। প্রকল্প বাস্তবায়নে স্বচ্ছতার পরিচয় দিতে হবে। অপ্রয়োজনীয় সরকারি অর্থব্যয় থেকে বিরত থাকতে হবে। প্রকল্পের কাজ পরিপূর্ণভাবে শেষ হওয়া ছাড়া অর্থ পরিশোধ করলে সংশ্লিষ্টদের দায়-দায়িত্ব নিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, নিয়ম লঙ্ঘন করে প্রকল্পের কাজ করার প্রবণতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। সরকারি স্বার্থ বিকিয়ে দিয়ে কোনোকিছু করা যাবে না। প্রকল্পের সবটুকু কাজ বুঝে নিতে হবে।

মন্ত্রী বলেন, অর্পিত দায়িত্ব পালনে স্বচ্ছতার পরিচয় দিলে প্রকল্প নিয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত আলোচনা হবে না। ভালোভাবে যাচাই-বাছাই করে প্রকল্প প্রণয়ন করতে হবে। প্রকল্পে প্রস্তাবিত মূল্য বাজার মূল্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ থাকতে হবে। প্রস্তাবে কোনো ধরনের অসঙ্গতি মেনে নেওয়া হবে না বলেও সাফ জানিয়ে দেন তিনি। 

‘অনাকাঙ্ক্ষিত, অপ্রত্যাশিত ও অস্বাভাবিক কোনোকিছু প্রকল্পের প্রস্তাবে অন্তর্ভুক্ত করা থেকে বিরত থাকতে হবে। বিশেষ কাউকে সুবিধা দেওয়ার জন্য প্রকল্পের টেন্ডার প্রক্রিয়ায় ইচ্ছামতো শর্ত জুড়ে দেওয়ার প্রবণতা থেকেও বেরিয়ে আসতে হবে।’

সভায় ২০২০-২১ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ১৭টি ও বাংলাদেশ ভেটেরিনারি কাউন্সিলের দুটি প্রকল্পের ২০২০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব রওনক মাহমুদ, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আবদুল জব্বার শিকদার, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শাহ্ মো. ইমদাদুল হক ও মো. তৌফিকুল আরিফ, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক শেখ আজিজুর রহমান ও সংশ্লিষ্ট প্রকল্প পরিচালকরা এ সময় সভায় উপস্থিত ছিলেন।

এসএইচআর/এমএআর/