ফাইল ছবি

আগামী ১৪ জুলাই মধ্য রাত থেকে ২৩ জুলাই সকাল ৬টা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধিসহ অন্যান্য শর্ত মেনে ট্রেন পরিচালনা করবে বাংলাদেশ রেলওয়ে। তবে ঈদুল আজহার দিন ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকবে।

বাংলাদেশ রেলওয়ের উপপরিচালক (টিসি) মো. নাহিদ হাসান খাঁন স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত নির্দেশনাপত্র থেকে এ তথ্য জানা গেছে। নির্দেশনাপত্রটি মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্ব ও পশ্চিমাঞ্চলের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো হয়েছে।

নির্দেশনাপত্রে বলা হয়, যাত্রার দিনসহ পাঁচদিন আগে আন্তঃনগর ট্রেনের আগাম টিকিট ইস্যু করা হবে। টিকিট রিফান্ড করা হবে না। যাত্রীদের সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে আন্তঃনগর ট্রেনের মোট আসন সংখ্যার অর্ধেক টিকিট ইস্যু করা হবে। আন্তঃনগর ট্রেন ম্যানুয়াল অনুসারে, নির্ধারিত পাস, কোটা ছাড়া টিকিট বিক্রিতে বিদ্যমান সব ধরনের কোটা রহিত থাকবে। আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট শুধুমাত্র অনলাইন ও মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে সকাল ৮টা থেকে আগাম ব্যবস্থাপনায় ইস্যু করা হবে। আন্তঃনগর ট্রেনে সব ধরনের স্ট্যান্ডিং টিকিট ইস্যু করা হবে না।

আন্তঃনগর ট্রেনে ক্যাটারিং সেবা প্রদান ও ট্রেনে রাতে বেডিং সরবরাহের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মানা হবে। ১৫ থেকে ১৯ জুলাই ট্রেনযাত্রার টিকিট ইস্যু করা হবে। ২০ ও ২২ জুলাই যেসব আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করবে শুধু সেগুলোর টিকিট ইস্যু করা হবে। 

জানা গেছে, বিদ্যমান স্বাস্থ্যবিধি মেনে ট্রেনে চা, কফি, বোতলজাত পানি, প্যাকেটজাত খাবার (চিপস, বিস্কিট ইত্যাদি) সরবরাহ করা হবে। এইচওআর, রেলওয়ে পাস এবং মিলিটারি ওয়ারেন্টের টিকিট আগের মতো ইস্যু করার ব্যবস্থা থাকবে। ২ শতাংশ টিকিট রেলওয়ের কর্মচারীদের জন্য যাত্রার ২৪ ঘণ্টা আগে পর্যন্ত সংরক্ষণ করা থাকবে। কমিউটার ও মেইল এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিট স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাউন্টার থেকে বিক্রি করতে হবে।

কুলি, ট্রলি ব্যবহারের ক্ষেত্রে অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করতে হবে। ট্রেনের প্রতিটি কোচ ও ইঞ্জিন চলাচলের আগে স্বাস্থ্যবিধি মোতাবেক জীবাণুমুক্ত করতে হবে।

পিএসডি/এসকেডি