কাঁটাবনে বিধিনিষেধে বন্ধ দোকানে মারা গেছে অসংখ্য পশু-পাখি
করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে সারাদেশে সরকারের দেওয়া বিধিনিষেধ চলাকালে রাজধানীর কাঁটাবন মার্কেটের সব দোকানপাট বন্ধ ছিল। বন্ধ দোকানে মারা গেছে অসংখ্য শোভাবর্ধক মাছ, পশু ও পাখি।
শুক্রবার (১৬ জুলাই) রাজধানীর কাঁটবন মার্কেট অ্যাকুরিয়াম অ্যান্ড পেট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রহমান শিকদার ঢাকা পোস্টকে বলেন, গত ১৪ দিনে আমাদের এখানে কয়েকশ অ্যাকুরিয়ামের মাছ, পোষা পাখি ও পশুর প্রাণহানি ঘটেছে। আসলে এসব পশু, পাখিরা তো আলোবাতাস ছাড়া থাকতে পারে না। আমরা কেবল দুই ঘণ্টা দোকান খোলা রেখে তাদের খাবার দিতে পেরেছি। এর মাঝেই আমাদের অনেক কর্মচারীদের আটক করে নিয়ে যাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে।
বিজ্ঞাপন
কী পরিমাণ, পাখি, পশু ও রঙিন মাছ মারা গেছে এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, নির্দিষ্ট করে সংখ্যা বলা অনেক কঠিন। তবে কয়েকশ পাখি, পশু ও রঙিন মাছ মারা গেছে। এতে সবমিলিয়ে কয়েক লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে আমাদের। প্রাণ হারিয়েছে শখের পোষা পাখি, পশু ও মাছ।
আলাপকালে তিনি জানান, গত ১ জুলাই থেকে বাজার বন্ধ হওয়ার পর ৪০০ পাখি, কয়েক ডজন কুকুর, বিড়াল, খরগোশ, ইঁদুর এবং গিনিপিগ মারা গেছে। বদ্ধ অবস্থায় থেকে প্রায় ১০ থেকে ১৫ শতাংশ পশু পাখি অসুস্থ হয়ে পড়েছে।
বিজ্ঞাপন
কাঁটাবন পেট গ্যালারির স্বত্বাধিকারী নাহিদুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, পোষা প্রাণির খাবার সবখানে পাওয়া যায় না। আর এসব খাবার না পেলে তো প্রাণিগুলো মারা যাবে। আমাদের দাবি লকডাউন চলাকালে খাবারের দোকানসহ পোষা প্রাণির দোকানগুলো যেন খুলে রাখা হয়। না হলে বড় ধরণের ক্ষতি হয়ে যেতে পারে।
তিনি জানান, প্রতিদিনই অনেকেই তার বাড়ি থেকে খাবার নিয়ে যাচ্ছেন। সবাই তো বাড়িতে আসতে স্বাচ্ছন্দ্যেবোধ করবেন না। ক্রেতারাও অনেক সময় বিরক্ত হন। এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।
এদিকে গত ১৩ জুলাই থেকে করোনা সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত চলমান বিধিনিষেধকালে রাজধানীর কাঁটাবন মার্কেটে বিদ্যমান জীবন্ত শোভাবর্ধক মাছ ও পশু-পাখির জীবন রক্ষার উদ্যোগ নেয় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
এ উদ্দেশ্যে কাঁটাবন মার্কেটের মাছ ও পশু-পাখির দোকানগুলো চলমান বিধিনিষিধের মধ্যে প্রতিদিন সকাল ও সন্ধ্যায় অন্তত দুই ঘণ্টা করে খোলা রাখার সুপারিশ করেছে মন্ত্রণালয়। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে পুলিশকে নির্দেশনা প্রদানের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
একে/এসকেডি