সংগৃহীত ছবি

রাজধানীর খাল ও বক্স কালভার্টগুলো গত কয়েক বছর পরিষ্কার করা হয়নি। এ কারণে দীর্ঘদিনের পুঞ্জিভূত সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করেছে। সিটি করপোরেশন খাল ও বক্স কালভার্টে জমে থাকা ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করছে। এতে আগামী বর্ষা মৌসুমে ঢাকাবাসী কিছুটা হলেও সুফল পাবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস

সোমবার (১১ জানুয়ারি) নগরীর ৭নং ওয়ার্ডের মানিকনগর স্লুইস গেইট ও ৮নং ওয়ার্ডের গোপীবাগের টিটিপাড়া, সেগুনবাগিচা বক্স কালভার্ট ও গোপী পাড়ার টিটিপাড়া আউটলেটে চলমান বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে মেয়র এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় যে খাল, বক্স কালভার্ট রয়েছে- সেগুলো হস্তান্তর প্রক্রিয়া শুরু এবং চলমান রয়েছে। সে পরিপ্রেক্ষিতে গত ১ জানুয়ারি থেকে আমরা খালগুলো পরিষ্কার করাসহ কালভার্টগুলো থেকে বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম শুরু করেছি।

মেয়র বলেন, মানিকনগর টিটি পাড়া এলাকা পরিদর্শনে এসেছি। গণমাধ্যমকর্মীরা লক্ষ্য করেছেন যে, এখানে কি অবস্থা বিরাজ করছে? যতটুকু অনুধাবন করতে পেরেছি, এটি তার চেয়ে সম্পূর্ণ ভিন্ন। এখানে দীর্ঘদিন ধরে কোনো কাজই হয়নি। সব জায়গায় শুধু বদ্ধ ও স্তূপই না, শক্ত পলিমাটি জমে গেছে। সুতরাং এটি একটা বিশাল কর্মযজ্ঞ।

তাপস আরও বলেন, আমরা কর্মপরিকল্পনা ঠিক করব। আগামী মার্চ মাসের মধ্যে যেন এসব এলাকায় পানি প্রবাহ ও নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা যায়, সে লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে আমরা এগিয়ে চলছি।

ডিএসসিসি মেয়র এ সময় আক্ষেপ করে বলেন, এর আগে বিভিন্ন ধারণা দেওয়া হলেও, সত্যিকার অর্থে গত কয়েক বছর ধরে এখানে কোনো কাজ হয়নি। বক্স কালভার্টগুলো, খালগুলো পরিষ্কার করা হয়নি। যার কারণে দীর্ঘদিনের পুঞ্জিভূত সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করেছে। সুতরাং আমাদের এখনকার কাজটা অত্যন্ত জটিল ও দুরূহ। তারপরও আমরা শুরু করেছি। যদি এটা সফলভাবে করতে পারি, তাহলে ভবিষ্যতে কাজগুলো আরো শৃঙ্খলা এবং ব্যবস্থাপনার মধ্যে আসবে। যার সুফলগুলো আমরা ঢাকাবাসীকে দিতে পারব।

এখন যে পরিস্থিতিতে আছে তাতে জলাবদ্ধতা আরো বেশি হওয়ার কথা। তারপরও কিভাবে আমরা টিকে আছি তা অবাক কাণ্ড উল্লেখ করে তাপস আরও বলেন, আপনারা নিজেরা দেখেছেন, এখানে পানি প্রবাহের কোনো ব্যবস্থাই নাই। পানি যে আসবে, তারপরই তো পাম্প হাউজ ব্যবহার হবে। পাম্প হাউস দিয়ে পানিটা আবার নিষ্কাশন হবে। এরপর মান্ডা ও জিরানি খাল দিয়ে পানি প্রবাহিত হবে। কিন্তু পানি আসার কোনো উপায় নেই, কারণ পুরোটাই বদ্ধ।

পরে ডিএসসিসি মেয়র জিরানি খালের ত্রিমোহনী অংশে চলমান বর্জ্য অপসারণ, চ্যানেল পরিষ্কার ও উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিদর্শন করে বিভিন্ন দিক নির্দেশনা দেন।

এ সময় ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর মো. বদরুল আমিন, প্রধান প্রকৌশলী রেজাউর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিনসহ করপোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং স্থানীয় কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন।

এএসএস/এমএইচএস