আটকে পড়ার ভয়ে ঢাকায় ফিরছে মানুষ
ট্রেনে ঢাকায় ফিরছে মানুষ
কাল থেকে শুরু হচ্ছে ১৪ দিনের কঠোর বিধিনিষেধ। এ সময় বন্ধ থাকবে সব ধরনের যানবাহন। তাই আটকে পড়ার ভয়ে ঈদের আমেজ শেষ হতে না হতেই ঢাকায় ফিরছে সাধারণ মানুষ ও কর্মজীবীরা।
বৃহস্পতিবার (২২ জুলাই) বিকেলে ঈদের দ্বিতীয় দিন রাজধানীর কমলাপুর স্টেশনে যাত্রী ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এমনটি জানা গেছে। তারা বলছেন, ১৪ দিনের কঠোর বিধিনিষেধে গণপরিবহন বন্ধ থাকবে। আজ ঢাকা না ফিরলে ১৪ দিন গ্রামে আটকে থাকতে হবে।
বিজ্ঞাপন
সরেজমিনে দেখা যায়, ঢাকামুখী প্রতিটি ট্রেন ফিরেছে যাত্রীভর্তি হয়ে। এসব ট্রেনে আসা যাত্রীদের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি খুব একটা দেখা যায়নি। ট্রেন থেকে নেমে প্লাটফর্ম দিয়ে হাঁটার সময় অনেকের মুখেই ছিল না মাস্ক।
বিজ্ঞাপন
ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে আসা আল মামুন বলেন, আমি একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে চাকরি করি। রোববার থেকে অফিস খুলছে। আজ ঢাকায় ফিরলে কীভাবে ফিরতাম। কাল থেকে লকডাউন, সব যানবাহন বন্ধ হয়ে যাবে। তাই ভগান্তি এড়াতে আজই চলে এলাম। ট্রেনে অনেক ভিড় ছিল। টিকিট কেটেও সিটে বসতে পারিনি। পুরো বগি যাত্রীতে ভর্তি ছিল। তাহলে বুঝে নেন স্বাস্থ্যবিধির কী অবস্থা!
রাজশাহী থেকে বনলতা এক্সপ্রেসে ঢাকায় আসা আসাদুজ্জামান জানান, বেসরকারি একটি সেবা প্রতিষ্ঠানে চাকরি করি। কাল থেকে অফিসে জয়েন করতে হবে। ঈদের দুদিন আগে বাড়ি গিয়েছিলাম। আজ চলে এসেছি। কারণ আজ না আসলে ঢাকায় ফেরা অনিশ্চিত হয়ে যেত।
এদিকে ঢাকায় ফেরার পাশাপাশি ঈদের দ্বিতীয় দিন অনেককে রাজধানী ছাড়তে দেখা গেছে। চট্টগ্রামগামী সুবর্ণ এক্সপ্রেসের যাত্রী সাইমা খাতুন বলেন, ঈদের আগেই বাড়ি যেতে চেয়েছিলাম, কিন্তু টিকিট পাইনি। তাই এখন বাড়ি যাচ্ছি। আজ ভিড় কম, ভোগান্তিও নেই।
কমলাপুর রেল স্টেশনে দায়িত্বরত এক কর্মকর্তা বলেন, ঈদের দ্বিতীয় দিনেও অনেকে বাড়ি যাচ্ছেন, তবে ভিড় তুলনামূলক কম। তবে যাওয়ার চেয়ে ফিরে আসার সংখ্যাই বেশি দেখা যাচ্ছে। করোনার সংক্রমণ রোধে কাল থেকে কঠোর বিধিনিষেধ শুরু হচ্ছে। তাই আজকের পর থেকে যতদিন বিধিনিষেধ চলবে, ততদিন ট্রেনে যাত্রী বহন বন্ধ থাকবে।
পূর্বঘোষিত তারিখ অনুযায়ী আগামী ২৩ জুলাই থেকে শুরু হচ্ছে কঠোর বিধিনিষেধ, যা চলবে আগামী ৫ আগস্ট পর্যন্ত। এ বিষয়ে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, বিধিনিষেধ শিথিলের মেয়াদ আর বাড়ছে না। ২৩ জুলাই কঠোর বিধিনিষেধ শুরু হয়ে চলবে ৫ আগস্ট পর্যন্ত। এই ১৪ দিন যদি বিধিনিষেধ মেনে চলি, তাহলে সংক্রমণের চেইন ভাঙতে পারব।
এসআই/আরএইচ