শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতিকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ

রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি গোটাবায়া রাজাপাকসেকে ঢাকা সফরের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

সোমবার (১১ জানুয়ারি) বাংলাদেশের নবনিযুক্ত হাইকমিশনার তারেক মো. আরিফুল ইসলাম দেশটির রাষ্ট্রপতির কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে তার পরিচয়পত্র পেশ করার সময় এ আমন্ত্রণ জানান।

সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কলম্বোর বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নবনিযুক্ত বাংলাদেশি হাইকমিশনার তারেক আরিফুল রাষ্ট্রপতি রাজাপাকসের কাছে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা পৌঁছে দেন এবং তাদের পক্ষে ঢাকা সফরের জন্য তাকে আমন্ত্রণ জানান।

শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বাংলাদেশ সফরে আমন্ত্রণের জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

হাইকমিশনার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ যে অভূতপূর্ব আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন অর্জন করেছে, শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতিকে তা সম্পর্কে অবহিত করেন এবং কোভিড-১৯ মোকাবিলায় বাংলাদেশের সাফল্য তুলে ধরেন। তিনি দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য, দ্বিপক্ষীয় মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ), নৌ-পরিবহন সংযোগ বাড়ানো, কোস্টাল শিপিং চুক্তি স্বাক্ষর, বিনিয়োগ বৃদ্ধি, ওষুধ খাতে সহযোগিতা ইত্যাদি বিষয়েও আলোচনা করেন।

শ্রীলঙ্কার আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে নেতৃত্ব প্রদানের পাশাপাশি কোভিড -১৯ মহামারিকে কার্যকরভাবে মোকাবিলার জন্য রাষ্ট্রপতি রাজাপাকসেকে সাধুবাদ জানান হাইকমিশনার তারেক আরিফুল।

এ সময় বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে হাইকমিশনার দুই দেশের মধ্যকার বন্ধনকে আরও জোরদার করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। এজন্য তিনি  শ্রীলঙ্কা সরকারের সমর্থন চান।

রাষ্ট্রপতি হাইকমিশনারকে তার দায়িত্ব গ্রহণের জন্য অভিনন্দন জানান। তিনি কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবিলায় শ্রীলঙ্কার অভিজ্ঞতা বিনিময় করেন।

বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে কৃষি ও কৃষিভিত্তিক পণ্য, আঞ্চলিক পর্যটন, বাণিজ্য-বিনিয়োগ, আইসিটি, উচ্চ প্রযুক্তি শিল্প এবং শিক্ষার ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়ে অভিমত দেন শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি।

অনুষ্ঠানে শ্রীলঙ্কার পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীনেশ গুণাওয়ার্দনে, রাষ্ট্রপতির সচিব ড. পি. বি. জয়সুন্দেরা এবং পররাষ্ট্র সচিব অ্যাডমিরাল প্রফেসর জয়নাথ কলম্বাগে উপস্থিত ছিলেন।

এনআই/এমএইচএস