প্রবীণ চিকিৎসক নেতা তোফাজ্জল করিমের মৃত্যু
হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন প্রবীণ চিকিৎসক নেতা ডা. একেএম তোফাজ্জল করিম (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। হৃদরোগসহ বেশকিছু জটিল রোগে ভুগছিলেন তিনি।
মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন তিনি। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর।
বিজ্ঞাপন
বাদ জোহর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর উত্তরা-১২ নম্বর সেক্টরে তাকে দাফন করা হয়। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী ও তিন মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন ডা. একেএম তোফাজ্জল করিম।
তিনি আশির দশকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের চিকিৎসক রাজনীতিতে নেতৃত্বের সারিতে ছিলেন। জানা গেছে, বর্তমান বিএমএ ভবন নির্মাণে এ পেশাজীবী নেতার ছিল প্রত্যক্ষ অবদান। পরবর্তীতে এক বুক ঘৃণা, দুঃখ, বেদনা আর অভিমান নিয়ে রাজনীতি থেকে সরে যান তিনি।
বিজ্ঞাপন
তার মৃত্যুর খবর দিয়ে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) সভাপতি অধ্যাপক ডা. ইকবাল আর্সলান ফেসবুকে লিখেছেন, ‘আমাদের শ্রদ্ধেয় ডা. তোফজ্জল করিম ভাই আজ সকালে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি... রাজিউন)। বর্তমান প্রজন্ম তাকে কেউই হয়ত চেনেন না। আশির দশকে আমরা যারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের চিকিৎসক রাজনীতি করতাম তাদের অন্যতম নেতা ছিলেন। তিনি অমিত সাহসী বন্ধুবৎসল বঙ্গবন্ধু আদর্শের মানুষ ছিলেন, আমাদের উৎসাহ সাহস যুগিয়েছেন। তিনি ধানমন্ডি ২৮ নম্বর সড়কের ‘উপসম’ ক্লিনিকের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন, যেটা বিলুপ্ত হয়ে গেছে, সে এক ন্যাক্কারজনক ইতিহাস। বর্তমান বিএমএ ভবন নির্মাণে তার যথেষ্ট অবদান ছিল। আমরা তাকে ভুলে গেছি। তিনি মৃত্যুঅবধি এক বুক ঘৃণা দুঃখ বেদনা আর অভিমান নিয়ে নিজেকে নির্বাসিত করে রেখেছিলেন। আল্লাহ তাকে পুরস্কৃত করুন।’
ডা. একেএম তোফাজ্জল করিমের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছে পেশাজীবী চিকিৎসকদের সংগঠন ফাউন্ডেশন ফর ডক্টরস সেইফটি, রাইটস অ্যান্ড রেসপনসিবিলিটিজের (এফডিএসআর)।
টিআই/এসএসএইচ