দেশে কৃষি যন্ত্রপাতির সংযোজন কারখানা করবে ভারতের মাহিন্দ্র অ্যান্ড মাহিন্দ্র লিমিটেড। এছাড়া প্রান্তিক পর্যায়ে যন্ত্রের ব্যবহার জনপ্রিয় ও রক্ষণাবেক্ষণ সহজতর করতে প্রশিক্ষিত জনবল তৈরির ব্যাপারেও উদ্যোগ গ্রহণ করবে এই কোম্পানি। 

মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) মাহিন্দ্র'র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও পবন গোয়েঙ্কা কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে এ আগ্রহের কথা জানান। পরে মন্ত্রী ব্রিফিং করে সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। 

কৃষিমন্ত্রী বলেন, দেশে যান্ত্রিকীকরণে বিনিয়োগের সম্ভাবনা অনেক। সেজন্য মাহিন্দ্র এখানে বিনিয়োগ করতে চাচ্ছে। আজকে যেসব বিষয় আলোচনা হয়েছে তা বাস্তবে রূপ দিতে পারলে যান্ত্রিকীকরণে সাফল্য আসবে। দেশের অর্থনীতির উন্নয়নে তা বড় ভূমিকা রাখবে।

তিনি বলেন, দেশে কৃষিযন্ত্রপাতির বাজার প্রায় ১ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলারের। যা বছরে ১০ শতাংশ হারে বাড়ছে। এ বিশাল বাজারে ভারতের বিনিয়োগের অনেক সুযোগ রয়েছে।

কৃষি যন্ত্রপাতির দাম অনেক বেশি হওয়ায় কৃষকেরা যন্ত্রপাতি কিনতে পারে না জানিয়ে তিনি বলেন, এটি বিবেচনায় নিয়ে তারা (মাহিন্দ্র) দেশের কৃষকদের ঋণ দেওয়ার চিন্তাভাবনাও করছে।

বাংলাদেশে কৃষি শ্রমিকের ঘাটতি দিন দিন বাড়ছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, শ্রমিকরা কৃষিকাজ থেকে শিল্পসহ অন্যান্য খাতে চলে যাচ্ছে। শ্রমিকের দাম অনেক বেশি হওয়ায় কৃষিতে লাভবান হচ্ছে না কৃষক। সেজন্য সরকার কৃষি যান্ত্রিকীকরণে অত্যন্ত গুরুত্ব দিচ্ছে। 

সরকার এ বছর ২০০ কোটি টাকার মাধ্যমে ৫০ থেকে ৭০ ভাগ ভর্তুকিতে কৃষকদের কম্বাইন্ড হারভেস্টার, রিপারসহ কৃষি যন্ত্রপাতি সরবরাহ করেছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এছাড়াও তিন হাজার কোটি টাকার প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে প্রায় ৫১ হাজার কৃষিযন্ত্রপাতি দেওয়া হবে। 

বৈঠকে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রসারণ) মো: হাসানুজ্জামান কল্লোল, অতিরিক্ত সচিব ড. মো: আবদুর রৌফ, বিএডিসির চেয়ারম্যান মো: সায়েদুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। 

মাহিন্দ্র অ্যান্ড মাহিন্দ্র লিমিটেডের ফার্ম ইকুইপমেন্ট সেক্টরের (এফইএস) প্রেসিডেন্ট হেমন্ত সিক্কা, এফইএস’র সিইও প্রকাশ ওয়াকানকার, বাংলাদেশের কান্ট্রি হেড রবিন কুমার দাশসহ শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারা এ বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন। 

গত ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত ‘কৃষিখাতে ভারত-বাংলাদেশের সহযোগিতা বিষয়ক ডিজিটাল কনফারেন্সের’ ফলোআপ হিসেবে এ বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। 

এসএইচআর/ওএফ