যাত্রীবাহী ট্রেন চালুর প্রস্তুতি নিচ্ছে রেলওয়ে
ফাইল ছবি
সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী ১১ আগস্ট গণপরিবহন চালু হলে চলবে যাত্রীবাহী ট্রেনও। সেদিন থেকে সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বাংলাদেশ রেলওয়ে আগের মতোই স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাত্রীবাহী ট্রেন পরিচালনা করবে। সেক্ষেত্রে ট্রেনের মোট আসনের সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ আসনের টিকিট বিক্রি করা হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে অর্ধেক আসনে যাত্রী পরিবহন করা হবে। এভাবে ট্রেন পরিচালনার বিষয়ে রেলওয়ের সর্বাত্মক প্রস্তুতি রয়েছে।
জানতে চাইলে মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) সাহাদাত আলী সরদার ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী সারাদেশে গণপরিবহন চালু হলে যাত্রীবাহী ট্রেন পরিচালনা করার জন্য প্রস্তুত রয়েছি। এ ধরনের প্রস্তুতি আমাদের সবসময়ই থাকে। এখন পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল করছে।
বিজ্ঞাপন
তিনি জানান, এখন বিভিন্ন যাত্রীবাহী ট্রেন, ট্রেনের ইঞ্জিন ও রেলপথের সংস্কার কাজ চলছে।
এদিকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে চলমান কঠোর বিধিনিষেধের মেয়াদ ১০ আগস্ট পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এরপর ১১ আগস্ট থেকে দোকানপাট, গণপরিবহন ও অফিস-আদালত খুলে দেওয়া হবে।
বিজ্ঞাপন
মঙ্গলবার ভার্চুয়ালি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে সচিবালয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
এর আগে করোনার সংক্রমণ রোধে সব ধরনের অফিস বন্ধ রেখে গত ১ থেকে ১৪ জুলাই পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ কার্যকর করে সরকার। এরপর কোরবানির ঈদের আগে গত ১৫ জুলাই থেকে আট দিনের জন্য সব বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া হয়। পরে আবার গত ২৩ জুলাই থেকে সকাল ৬টা থেকে ৫ আগস্ট মধ্যরাত পর্যন্ত ১৪ দিনের কঠোর বিধিনিষেধ জারি করে সরকার। তবে এর মধ্যে গত রোববার (১ আগস্ট) থেকে খুলে দেওয়া হয়েছে রফতানিমুখী শিল্প ও কলকারখানা।
এদিকে সবকিছু খুলে দেওয়ার ঘোষণা এলেও এর সঙ্গে শর্ত জুড়ে দিয়েছে সরকার। ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে যারা টিকা নিয়েছেন, শুধুমাত্র তারাই ঘর থেকে বের হতে পারবেন। টিকা নেওয়া ছাড়া কেউ চলাফেরা করলে তাকে শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে।
এ বিষয়ে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, অবশ্যই সবাইকে টিকা নিতে হবে। দেশব্যাপী ১৪ হাজার কেন্দ্রে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ১১ তারিখ থেকে কঠোরভাবে আইন প্রয়োগ করবে। টিকা ছাড়া ১৮ বছরের বেশি কেউ চলাচল করলে তাকে সাজার আওতায় আনা হবে।
মন্ত্রী বলেন, আইন না করলেও অধ্যাদেশ জারি করে হলেও শাস্তি দেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হবে। যেহেতু সংসদ বন্ধ তাই আইন পাস করা সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, আগামী ১ সপ্তাহে এক কোটি মানুষকে ভ্যাকসিনেটেড করবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। ওয়ার্ড-ইউনিয়নে ৫ থেকে ৭টি কেন্দ্র করে এক কোটি মানুষকে টিকা দেওয়া হবে। মানুষকে টিকা নিতে দৌড়াতে হবে না, আমাদের লোকজনই তাদের কাছে পৌঁছে যাবে।
এ সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, মাস্ক পরা ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা খুব গুরুত্বপূর্ণ। এটি পুরোপুরিভাবে বাস্তবায়ন করতে চাইলে পুলিশকেও ক্ষমতা দেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। যাতে করে কিছু জরিমানা করতে পারে। এ বিষয়ে অধ্যাদেশ লাগবে, আমরা হয়ত সেদিকেই যাব।
স্থানীয়ভাবে টিকা উৎপাদনের জন্য সভায় জোর দেওয়া হয়েছে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ৭ আগস্ট থেকে সাত দিনের জন্য ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডে টিকা দেওয়ার কর্মসূচি হাতে নিয়েছি। মোট এক কোটি মানুষকে টিকা দেওয়া হবে। টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে গ্রামের বয়স্কদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
পিএসডি/এসএসএইচ