করোনাভাইরাসের প্রতীকী ছবি

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত আরও ১৪ রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল সাত হাজার ৮৩৩ জনে।

এ সময়ে নতুন করে ৮৯০ জনের শরীরে প্রাণঘাতী এ ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এর মাধ্যমে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৫ লাখ ২৪ হাজার ৯১০ জনে দাঁড়িয়েছে।

বুধবার (১৩ জানুয়ারি) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনা বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৮৪১ জন রোগী সুস্থ হয়েছেন। এতে এ পর্যন্ত সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪ লাখ ৬৯ হাজার ৫২২ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ১৯৯টি ল্যাবে মোট ১৫ হাজার ৭২৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ৩৪ লাখ ০১ হাজার ৫০৬টি নমুনা।

গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার পাঁচ দশমিক ৬৬ শতাংশ, এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ৪৩ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৯ দশমিক ৪৫ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৯ শতাংশ।

সরকারি ব্যবস্থাপনায় এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২৬ লাখ ৭৮ হাজার ২৫৩টি। আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হয়েছে সাত লাখ ২৩ হাজার ২৫৩টি।

গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ০৬ জন পুরুষ, নারী ০৮ জন। তাদের মধ্যে ১৩ জন হাসপাতালে এবং একজন বাড়িতে মারা গেছেন।

মারা যাওয়াদের মধ্যে ১০ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি এবং বাকি চারজনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে।

গত ২৪ ঘন্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ১০ জন ঢাকা বিভাগের, দুজন চট্টগ্রাম বিভাগের এবং বাকি দুজন সিলেট ও খুলনা বিভাগের। 

করোনাভাইরাসে দেশে এ পর্যন্ত মারা যাওয়া ৭ হাজার ৮৩৩ জনের মধ্যে পাঁচ হাজার ৯৪৩ জন পুরুষ। নারীর সংখ্যা এক হাজার ৮৯০ জন। তাদের মধ্যে চার হাজার ৩০৮ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। এছাড়াও এক হাজার ৯৭৫ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৯০৭ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ৩৮৭ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, ১৬১ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে, ৫৯ জনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে এবং ৩৬ জনের বয়স ছিল ১০ বছরের কম।

এখন পর্যন্ত যারা করোনায় মারা গেছেন তাদের মধ্যে চার হাজার ৩৩৬ জন ঢাকা বিভাগের, এক হাজার ৪৩৬ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ৪৪৯ জন রাজশাহী বিভাগের, ৫৪১ জন খুলনা বিভাগের, ২৩৯ জন বরিশাল বিভাগের, ২৯৯ জন সিলেট বিভাগের, ৩৫০ জন রংপুর বিভাগের এবং ১৮৩ জন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।

এসআরএস