পুরনো ফরমেও জমা দেওয়া যাবে এসিআর

নতুন ফরমের পাশাপাশি পুরনো ফরমেও সরকারি কর্মচারীদের ২০২০ সালের বার্ষিক গোপনীয় অনুবেদন (এসিআর) জমা দেওয়া যাবে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে সম্প্রতি এ তথ্য জানানো হয়েছে।

গত ৭ জানুয়ারি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় নতুন ফরমে এসিআর দাখিলের নির্দেশ দিয়েছিল। নতুন ফরমে আগের মতোই ২৫টি বিষয়ের মূল্যায়ন থাকছে। এরমধ্যে নৈতিক ও সততাকে শীর্ষে রাখা হয়েছে। ফরমে অনুবেদনকারী এবং অনুবেদন প্রতিস্বাক্ষরকারীর সুপারিশ অংশেও পরিবর্তন আনা হয়েছে।

ফরমের কার্যসম্পাদন অংশ থেকে সহকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক, অধীনস্থদের প্রশিক্ষণ দানে আগ্রহ ও দক্ষতা, বার্ষিক গোপনীয় অনুবেদন লিখন প্রতিস্বাক্ষরকরণে তৎপরতা এ তিনটি মূল্যায়নের ক্ষেত্রে বাদ দেওয়া হয়েছে।

এক্ষেত্রে নতুন করে ই-নথি ও ইন্টারনেট ব্যবহারে আগ্রহ ও দক্ষতা, উদ্ভাবনী কাজে আগ্রহ ও দলগত কাজে সহযোগিতা এবং নেতৃত্বদানের সক্ষমতা নতুন মূল্যায়নের ক্ষেত্র হিসেবে যুক্ত হয়েছে।

পাশাপাশি ২০১২ সালে প্রণীত অনুস্বাক্ষর লিখন, প্রতিস্বাক্ষর ও সংরক্ষণ সংক্রান্ত অনুশাসনমালা বাতিল করে নতুন করে জারি করা হয়।

আগের অনুশাসনমালায় (২০১২) নবম ও তার উপরের গ্রেডে কর্মরতদের ‘কর্মকর্তা’ হিসেবে উল্লেখ করা হলেও নতুন অনুশাসনমালায় সবাইকে ‘কর্মচারী’ বলা হয়েছে। এছাড়া বিদ্যমান আগ্রহ অংশে ‘আগ্রহ ও মনোযোগ’, ‘ব্যবস্থা গ্রহণ ও আদেশ পালনে তৎপরতার’ পরিবর্তে ‘ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ পালনে তৎপরতা’ এবং ‘জনসাধারণের সঙ্গে ব্যবহারের’ পরিবর্তে ‘সেবাগ্রহীতার সঙ্গে ব্যবহার’ সংযুক্ত করা হয়েছে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় জানায়, এ অনুশাসনমালা জারির পর থেকে যারা গোপনীয় অনুবেদন জমা দেবেন তাদেরকে নতুন ফরম পূরণ করতে হবে। যারা অনুশাসনমালাটি জারির আগেই এ বছরের গোপনীয় অনুবেদন জমা দিয়েছেন অথবা স্বাস্থ্য পরীক্ষার প্রতিবেদন গ্রহণ করেছেন তাদের নতুন ফরমে জমা দেওয়ার দরকার নেই।

জারি হওয়া নতুন অনুশাসনমালা ও ফরমটি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট (www.mopa.gov.bd) থেকে ডাউনলোড করা যাবে।

নিয়মানুযায়ী, বছর শেষে পরবর্তী বছরের ৩১ জানুয়ারির মধ্যে নিজস্ব কর্মকাণ্ড মূল্যায়নের জন্য সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা একটি বার্ষিক গোপনীয় অনুবেদন (এসিআর) তৈরি করেন।

প্রতিবেদন তৈরির পর তা নিয়ন্ত্রণকারী কর্মকর্তা বা অনুবেদনকারী কর্মকর্তার স্বাক্ষরের জন্য জমা দেবেন। অনুবেদনকারী কর্মকর্তা স্বাক্ষর করে ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে তা প্রতিস্বাক্ষরকারী কর্মকর্তার কাছে জমা দেবেন। প্রতিস্বাক্ষরকারী কর্মকর্তা ৩১ মার্চের মধ্যে নথিপত্র স্বাক্ষরের মাধ্যমে সিলগালা করা খামে গোপনীয় এ অনুবেদন সংরক্ষণকারী কর্তৃপক্ষ বা ডোসিয়ারের দপ্তরে পাঠাবেন।

এসএইচআর/এমএইচএস