মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মন্তব্যের কড়া প্রতিবাদ বাংলাদেশের
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও
বাংলাদেশে আল-কায়েদার হামলা নিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওর ‘অগ্রহণযোগ্য’ মন্তব্যের কড়া প্রতিবাদ করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যকে ‘অপ্রত্যাশিত’ এবং ‘অগ্রহণযোগ্য’ অ্যাখ্যা দিয়ে বুধবার (১৩ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ নিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওর বক্তব্য ঢাকার দৃষ্টিতে এসেছে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেছেন, আল-কায়েদা বাংলাদেশে হামলা করেছে; ভুলবশত এ ধরনের সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কা ভবিষ্যতেও আছে। একজন সিনিয়র নেতার বাংলাদেশ নিয়ে এমন মন্তব্য ‘অপ্রত্যাশিত’ এবং ‘অগ্রহণযোগ্য’। বাংলাদেশ দৃঢ়ভাবে এই অমূলক ও মিথ্যাচার বক্তব্যের প্রতিবাদ জানাচ্ছে। বাংলাদেশে আল-কায়েদা উপস্থিতির কোনো প্রমাণ নেই।
বিজ্ঞাপন
সুনির্দিষ্ট কোনো হামলার উল্লেখ না করে মঙ্গলবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াশিংটন ডিসির ন্যাশনাল প্রেসক্লাবে ইরানের সঙ্গে আল-কায়েদার যোগসূত্রের ব্যাখা দিতে গিয়ে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ টেনে আনেন। তিনি বলেন, আল-কায়েদা বাংলাদেশে হামলা করেছে; ভুলবশত ভবিষ্যতেও এ ধরনের সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কা আছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের বিদায়ী এই পররাষ্ট্রমন্ত্রী মূলত যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল ও সৌদি আরবে সন্ত্রাসী হামলার হুমকি নিয়ে কথা বলেন। এ সময় তিনি আল-কায়েদার হামলার কারণে ভেঙে পড়া লিবিয়া ও ইয়েমেনের প্রসঙ্গ টেনে বাংলাদেশের নাম যুক্ত করেন।
বিজ্ঞাপন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় নেতৃত্বে বাংলাদেশ সন্ত্রাসের বিষয়ে জিরো টলারেন্স মনোভাব পোষণ করে জানিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, সন্ত্রাসবাদ ও উগ্রবাদের প্রতি বাংলাদেশ জিরো টলারেন্স মনোভাব পোষণ করে। শুধু তাই নয়, এটি প্রতিরোধে সব ধরনের উদ্যোগ ও প্রদক্ষেপ গ্রহণ করেছে এবং সেই লক্ষ্যে কাজও করে যাচ্ছে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বিবৃতিতে বলা হয়, যদি এ ধরনের বক্তব্য প্রমাণসহ উপস্থাপন করা হয় তবে বাংলাদেশ সরকার এর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেবে। তবে এমন গুরত্বপূর্ণ ব্যক্তি যদি ধারণার উপর ভিত্তি করে এমন মন্তব্য করে থাকেন সেটা হবে খুবই দুঃখজনক। বিশেষ করে যখন ঢাকা ও ওয়াশিংটনের সম্পর্ক, শান্তি, মূল্যবোধ ক্রমেই আরও গাঢ় হচ্ছে।
সন্ত্রাস মোকাবিলায় বাংলাদেশের ট্র্যাক পৃথিবীজুড়ে প্রশংসিত হয়েছে বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এনআই/এইচকে