বাসা থেকে কাজ করা কর্মীর আয় অন্যদের তুলনায় কম : আইএলও
ফাইল ছবি
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরুর পর নিরাপত্তার স্বার্থে কর্মক্ষেত্রের পরিবর্তে কর্মীদের বাসা থেকে কাজ করার হার বেড়েছে। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) হিসাব অনুযায়ী, করোনা শুরু হওয়ার আগে বিশ্বব্যাপী ২৬ কোটি মানুষ বাসা থেকে কাজ করতো। আসছে বছরগুলোতে এর সংখ্যা আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সংস্থাটির ওয়ার্ক ফ্রম হোম বিষয়ক প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২০ সালে করোনা শুরু হওয়ার পর প্রথম মাসে প্রতি পাঁচজনে একজন শ্রমিক বাসা থেকে কাজ করেছে। যেহেতু পরের মাসগুলোতে করোনার প্রকোপ ব্যাপকভাবে ছড়িয়েছে, তাই পুরো বছরের তথ্য-উপাত্ত পাওয়া গেলে এ হার আরো অনেক বাড়বে বলে আশা করা যায়।
বিজ্ঞাপন
বুধবার (১৩ জানুয়ারি) বিশ্বব্যাপী ‘ওয়ার্কিং ফ্রম হোম : ফ্রম ইনভিজিবিলিটি টু ডিসেন্ট ওয়ার্ক’ শীর্ষক প্রতিবেদনটি একযোগে প্রকাশ করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাজ্যের ওয়ার্ক ফ্রম হোম কর্মীরা বাইরে কাজ করা কর্মীদের চেয়ে ১৩ শতাংশ কম আয় করেছে। এছাড়াও বাড়িতে কাজ করায় যুক্তরাষ্ট্রের কর্মীদের ২২ শতাংশ ও দক্ষিণ আফ্রিকার কর্মীদের আয় কমেছে ২৫ শতাংশ। এর বাইরে উন্নয়নশীল কিংবা অপেক্ষাকৃত পিছিয়ে থাকা দেশগুলোতে এ ব্যবধান আরও অনেক বেশি। আর্জেন্টিনা, ভারত ও মেক্সিকোর মত দেশে বাসায় থেকে কাজ করা কর্মীদের আয় অন্যদের তুলনায় কমেছে ৫০ শতাংশ।
বিজ্ঞাপন
সংস্থাটির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, এ প্রক্রিয়ায় কাজ করা কর্মীদের সার্বিক সুরক্ষার ক্ষেত্রে যথাযথ নীতিমালারও ঘাটতি রয়েছে। এ ধরনের শ্রমিকের সুরক্ষার জন্য আইএলওর বিদ্যমান নীতিমালায় (আইএলও কনভেনশন ১৭৭) সদস্যভুক্ত মাত্র ১০টি দেশ ছাড়া আর কেউই স্বাক্ষর করেনি। ফলে অনেক ক্ষেত্রেই এ প্রক্রিয়ায় কাজ করা কর্মীরা আইনি সুরক্ষা থেকেও বঞ্চিত হয়।
এসব কর্মী নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যঝুঁকি মোকাবিলা করে এবং অন্যান্যদের চাইতে তাদের প্রশিক্ষণের সুযোগ কম থাকে। একই সঙ্গে যৌথ দরাদরির লক্ষ্যে ট্রেড ইউনিয়নভুক্ত হওয়ার ক্ষেত্রেও পিছিয়ে থাকে।
আইএলওর হিসাবে, করোনা শুরুর আগে যে ২৬ কোটি কর্মী বাসা থেকে কাজ করতো তাদের ৫৬ শতাংশই নারী।
এসআর/এমএইচএস