যুবলীগের বহিষ্কৃত দপ্তর সম্পাদক কাজী আনিছুর রহমান ও তার স্ত্রী সুমি রহমানের বিরুদ্ধে পৃথক চার্জশিট অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে ওই চার্জশিট অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সংস্থাটি সচিব ড. মু আনোয়ার হোসেন হাওলাদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। শিগগিরই আদালতে চার্জশিট জমা দেওয়া হবে বলে জানা গেছে। 

২০১৯ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর কাজী আনিছুর রহমান ১২ কোটি ৮০ লাখ টাকা ও তার স্ত্রী সুমি রহমানের ১ কোটি ৩১ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদের দায়ে মামলা করে দুদক। তবে তদন্তে ওই অর্থের পরিমাণ বেশি পাওয়া গেছে।

তদন্তের সময় আসামি কাজী আনিছুর রহমানের নামে ১৪ কোটি ৯৫ লাখ ২৯ হাজার ৮৩৬ টাকার আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ পাওয়া গেছে। এছাড়া দেশের বিভিন্ন ব্যাংকে তার নিজ নামে ও তার প্রতিষ্ঠানের নামে ২৫টি হিসাবে ১২৩ কোটি ৫৪ লাখ ৪৫ হাজার ৮৪৮ টাকা গোপন করে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধের প্রমাণ পায়। যে কারণে কাজী আনিছুর রহমানের বিরুদ্ধে দুদক ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় চার্জশিট অনুমোদন দেয়।

অন্যদিকে আনিছুরের স্ত্রী সুমি রহমানের বিরুদ্ধে স্থাবর-অস্থাবর মিলিয়ে ২ কোটি ৬১ লাখ ৬২ হাজার ২১৮ টাকার আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ অর্জনের প্রমাণ পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে তার স্বামী কাজী আনিছুর রহমান অবৈধ অর্থ বিভিন্ন উপায়ে স্ত্রীর হিসাবে স্থানান্তরসহ স্ত্রীকে অবৈধ সম্পদ অর্জনে সহায়তা করে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। তাই তদন্তকারী কর্মকর্তার সুপারিশে সুমি রহমান ও তার স্বামী কাজী আনিছুর রহমানের বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন দেয়।

গত ২৩ নভেম্বর অবৈধ সম্পদের মামলার তদন্তে উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান শত কোটি টাকার সম্পদ জব্দ করেন। জব্দ করা সম্পদের মধ্যে রয়েছে  রাজধানীর কলাবাগানে পাঁচতলা বাড়ি, ধানমন্ডি ও ওয়ারীতে দুটি ফ্ল্যাট, এলিফ্যান্ট রোডের মাল্টিপ্লানে ৩ দোকান ও  ১৩ স্কয়ার ফুট বাণিজ্যিক স্পেস এবং গুলশান ২ নম্বর এলাকার একটি মার্কেটে ২টি দোকান। 

এছাড়া রাজধানীর বাইরে গোপালগঞ্জের মকসেদপুরের বোয়ালিয়ায় বিলসাবহুল বাড়ি, একটি পেট্রোল পাম্প, ৩০ কোটি টাকার ১৫ বিঘা জমি ও কেরাণীগঞ্জে ৪০ কাঠা জমি পেয়েছে দুদক। এর বাইরে যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা অনিছের ৫০ কোটি টাকার ব্যাংক লেনদেন পায় দুদক।

আরএম/জেডএস