মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেছেন, ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের ষড়যন্ত্রকারী ও কুশীলবদের খুঁজে বের করতে কমিশন গঠন করতে হবে। পাশাপাশি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ও সুবিধাভোগীদের মুখোশ উম্মোচন করে জনগণের সামনে তাদের আসল পরিচয় তুলে ধরতে হবে।

রোববার (১৫ আগস্ট) বাংলাদেশ শিশু একাডেমির সম্মেলন কক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এ আলোচনা সভার আয়োজন করে। 

তিনি বলেন, ষড়যন্ত্রকারীদের আইনের আওতায় এনে ও বিদেশে বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনিদের দেশে ফিরিয়ে এনে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে চেয়েছিলেন। স্বাধীনতা অর্জনের পর বঙ্গবন্ধু যখন অর্থনৈতিক মুক্তি ও সবুজ বিপ্লবের ডাক দিলেন, তখনই ষড়যন্ত্রকারীরা জাতির পিতাকে হত্যা করে। পরাজয়ের গ্লানি মোচনের জন্য মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারীরা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে। সপরিবারে হত্যার কারণ ছিল বঙ্গবন্ধুর পরিবারের নেতৃত্বে যেন স্বাধীনতার মূল্যবোধ ও শক্তি এদেশে আর ঘুরে দাঁড়াতে না পারে।

জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে বাংলাদেশ শিশু একাডেমির কর্মকর্তাদের উদ্দেশে প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেন, বঙ্গবন্ধুর জীবন আদর্শ ও চেতনা শিশুদের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে হবে। আজকের শিশুরাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ২০৪১ সালের উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেবে।

সভাপতির বক্তব্যে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব সায়েদুল ইসলাম বলেন, ঘাতকেরা জাতির পিতাকে হত্যার মাধ্যমে তার চেতনা ও আদর্শকে মুছে ফেলতে চেয়েছিল। কিন্তু তা করতে পারেনি। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও চেতনা বাংলাদেশে চিরপ্রবাহমান।

বাংলাদেশ শিশু একাডেমির চেয়ারম্যান লাকী ইনাম, মহাপরিচালক জ্যোতি লাল কুরী, মহিলা বিষয়ক অধিদফতরের মহাপরিচালক রাম চন্দ্র দাস, জয়িতা ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফরোজা খান, অতিরিক্ত সচিব ফরিদা পারভীন ও জাতীয় মহিলা সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মাকসুরা নূরসহ মন্ত্রণালয় ও দফতর-সংস্থার কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।   

আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের শহীদ সদস্যদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এরআগে ভার্চুয়ালি শিশুরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও চেতনার ওপর ছড়া, কবিতা ও স্বরচিত কবিতা পরিবেশন করে।

এসএইচআর/এসএম