৩০ বছর পর ঘুড়ি ওড়ান মেয়র ফজলে নূর তাপস

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, ঐতিহ্যবাহী সাকরাইন উৎসবের মাধ্যমে আমরা ঢাকার পুরো আকাশ রঙিন করে দিয়েছি। এই আয়োজনের মাধ্যমে আমরা বিশ্ববাসীকে জানাতে চাই, আমরা আনন্দ করতে জানি, উৎসব করতে জানি, ঐতিহ্যকে সংরক্ষণ করতে জানি।

বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) নগরের ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডে সাকরাইনের (ঘুড়ি উৎসব-১৪২৭) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

মেয়র বলেন, আজ ঢাকা শহরের প্রত্যেক ভবনের ছাদে, মাঠে ছেলেমেয়েরা উৎসব করছে। ঐতিহ্যবাহী সাকরাইন উৎসবকে পুরো দেশে ছড়িয়ে দিতে হবে। কারণ, একটি জাতির জন্য ঐতিহ্য লালন তার জাতীয়তাবোধের পরিচায়ক, জাতীয় সত্তার পরিচায়ক। এর মাধ্যমে আমরা যেমন সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে মোকাবিলা করব তেমনই সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দেবো। এজন্য সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সংরক্ষণ ও লালনে এ ধরনের আয়োজনের গুরুত্ব অপরিহার্য।

অনুষ্ঠানে ঘুড়ি ওড়ান মেয়র তাপস। তিনি উপস্থিতদের দেখিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেন, আমার ঘুড়িটা কত দূর চলে গেছে! আকাশের সীমানা পেরিয়ে যাচ্ছে। আমার কাছে দুটি ঘুড়ি পর্যদুস্ত হয়েছে।

উৎসব উদ্বোধন করেন মেয়র ফজলে নূর তাপস

ডিএসসিসি মেয়র বলেন, আয়োজন নিয়ে আমি খুব সন্তুষ্ট। ঢাকাবাসী অত্যন্ত আনন্দ, উৎসবের মাধ্যমে এ আয়োজনকে রঙিন করে তুলেছে।

তিনি জানান, প্রথমবারের মতো ডিএসসিসির পক্ষ থেকে সমন্বিতভাবে ৭৫টি ওয়ার্ডে আয়োজন করা হয়েছে। এখন থেকে প্রতিবছর আরও বড় কলেবরে আয়োজন করা হবে।

ছোটবেলায় ঘুড়ি ওড়াতেন জানিয়ে তাপস বলেন, ৩০ বছর পরে ঘুড়ি ওড়াচ্ছি। করোনা মহামারিতে পুরো পৃথিবী থমকে গেছে। উৎসবের আনন্দে বাংলাদেশ ও সারা বিশ্ব দ্রুতই করোনার প্রকোপ থেকে মুক্তি পাক।

পরে ডিএসসিসি মেয়র নগরের ৪৬ নম্বর ওয়ার্ডের জহির রায়হান নাট্যমঞ্চে এবং ৪১ নম্বরের ওয়ার্ডের ফকির চাঁন কমিউনিটি সেন্টারেও সাকরাইন উৎসবে অংশগ্রহণ করেন।

এছাড়া নগরের সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, আব্দুল আলীম মাঠসহ বিভিন্ন মাঠে করপোরেশনের পক্ষ থেকে সাকরাইন উৎসবের আয়োজন করা হয়। পুরান ঢাকার বাড়িতে বাড়িতে ব্যক্তিগত উদ্যোগের নানা আয়োজন উৎসবকে করেছে বর্ণিল।

এএসএস/এসআরএস