যথাযথ মর্যাদায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালন করেছে মস্কোর বাংলাদেশ দূতাবাস।

মস্কোর স্থানীয় সময় রোববার (১৫ আগস্ট) সকাল ৯টায় রাষ্ট্রদূতের নেতৃত্বে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করার মাধ্যমে কর্মসূচি শুরু হয়। মোনাজাতের আয়োজনও করা হয়। পরে মস্কোতে সরকারি সফরে থাকা বাংলাদেশ সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমানের নেতৃত্বে উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায়।

রাশিয়ান ফেডারেশনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত কামরুল আহসান দূতাবাসের অন্যান্য কর্মকর্তাদের সং নিয়ে ফুল দিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানান। সন্ধ্যার কর্মসূচির শুরুতেই ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্টে জাতির পিতা ও তার পরিবারের সব শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

এরপর অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমানের রচনা ও আবৃত্তিতে ‘কাঁদো বাঙ্গালি কাঁদো’ কবিতাটির রেকর্ড করা ভিডিও প্রদর্শন করা হয়। আয়োজনের এ পর্যায়ে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন দূতাবাসের কর্মকর্তারা।

শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে আমন্ত্রিত অতিথিরা ও দূতাবাসের কর্মকর্তারা বক্তব্য রাখেন। বক্তারা শোক জ্ঞাপন ও প্রাসঙ্গিক বিভিন্ন বিষয়ে আলোকপাত করেন। তারপর সদ্য স্বাধীন যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর অক্লান্ত প্রচেষ্টার ওপর নির্মিত একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

আলোচনা সভায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব জিয়াউল হাসান বলেন, জাতির জনক ও তার পরিবারের এই নির্মম হত্যাযজ্ঞ বাংলাদেশের ইতিহাসে চিরস্থায়ী কলঙ্কজনক অধ্যায় হয়ে থাকবে।

সভাপতির বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত ১৯৭৫ সালের এই দিনে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের শহীদ সদস্যদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। তিনি নজিরবিহীন এই হত্যাকাণ্ডে বিশ্বব্যাপী যে একটি নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছিল তা নিজের কূটনৈতিক পেশাগত অভিজ্ঞতার আলোকে বিধৃত করেন। রাষ্ট্রদূত বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে শোকের দিনকে শক্তিতে পরিণত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে দেখার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার স্মৃতিচারণ করেন। তাদের জীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সহজ-সরল ও অতিসাধারণ জীবন যাপনের অভিজ্ঞতা সবার সামনে মূর্ত করে তোলেন।

মন্ত্রী বলেন, জাতির জনকের সুযোগ্য কন্যা ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরিবার হারানোর নিদারুণ মর্মবেদনা বুকে নিয়েই পিতার আদর্শ বাস্তবায়নে অক্লান্তভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। শোককে শক্তিতে পরিণত করে মানুষের জন্য কাজ করে যাওয়ার এটা একটি জাজ্বল্যমান উদাহরণ।

এনআই/এমএইচএস