মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেছেন, ‌জিয়াউর রহমান ছিলেন ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের মূল ষড়যন্ত্রকারী। আর বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া ও তার ছেলে তারেক জিয়ার প্রত্যক্ষ সহায়তায় ও নির্দেশে ২১ আগস্টের  হামলা হয়। জিয়া পরিবারই বাংলাদেশে হত্যা ও ষড়যন্ত্রের সংস্কৃতি চালু করে। 

রোববার (২২ আগস্ট) মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব অডিটোরিয়ামে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় শহীদ আইভি রহমানের স্মরণে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় মহিলা সংস্থা এ আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে। 

ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেন, পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট এবং ২০০৪ সালের ২১ আগস্টের হামলাকারী ও খুনিরা অভিন্ন অপশক্তি। এই খুনিদের মূল লক্ষ্য ছিল মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার চেতনাকে ধূলিস্যাৎ করে বাংলাদেশকে পুনরায় পাকিস্তানে পরিণত করা। এজন্যই স্বাধীনতা বিরোধী ও যুদ্ধাপরাধীরা ২০০৪ সালে তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে নেতৃত্ব শূন্য করার লক্ষ্যে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা করেছিল। এ হামলায় আইভি রহমানসহ ২৪ জন শহীদ হন এবং অসংখ্য মানুষ পঙ্গুত্ব বরণ করেন।

তিনি বলেন, আইভি রহমান ছিলেন কর্মীবান্ধব ও রাজপথের সাহসী নেত্রী। রাজনীতিতে তার অবদান চিরস্মরণীয়। এ সময় তিনি ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার সঙ্গে জড়িত খুনিদের অবিলম্বে ফাঁসি কার্যকরের দাবি করেন। 

জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান বেগম চেমন আরা তৈয়বের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- মহিলা ও শিশু  বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সায়েদুল ইসলাম। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন- মহিলা বিষয়ক অধিদফতরের মহাপরিচালক রাম চন্দ্র দাস, জাতীয় মহিলা সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মাকসুরা নূর, সাবেক এমপি সেলিনা বেগম স্বপ্না প্রমুখ।  

সভায় বক্তারা বাংলাদেশে নারীর অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে আইভি রহমানের অবদানের কথা তুলে ধরেন। আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারসহ ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া করা হয়।

এসএইচআর/ওএফ