রাজধানীর সবুজবাগ এলাকার এক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে জানিয়েছেন, তিনি আত্মহত্যা করতে যাচ্ছেন। স্ট্যাটাস দেখে তার এক সহপাঠী জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিয়ে পুলিশকে বিষয়টি জানায়।

পুলিশ খবর পেয়ে দ্রুত ওই শিক্ষার্থীর বাসায় গিয়ে তাকে আত্মহত্যা থেকে বিরত করেছে। পরে ওই শিক্ষার্থীর মানসিক অবস্থার উন্নতির জন্য কাউন্সেলিংও করেছে পুলিশ। 

মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এর পরিদর্শক আনোয়ার সাত্তার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, সোমবার (২৩ আগস্ট) সন্ধ্যায় ৯৯৯ এ রাজধানীর বসুন্ধরা এলাকা থেকে এক তরুণ কল করেন। কলার জানান, তিনি ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। একই বিশ্ববিদ্যালয়ের এমবিএর এক শিক্ষার্থী ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন তিনি আত্মহত্যা করতে যাচ্ছেন। এরপর থেকে তিনি ওই শিক্ষার্থীর ফোনে কল করে যাচ্ছিলেন, কিন্তু ফোন বন্ধ পাচ্ছিলেন। এরপর তিনি একাধিক সহপাঠীর সাথে যোগাযোগ করে আত্মহত্যার স্ট্যাটাস দেওয়া শিক্ষার্থীর বাসার ঠিকানা সংগ্রহ করে ৯৯৯-এ ফোন করেছেন। তিনি জানান, ওই শিক্ষার্থী ঢাকার সবুজবাগ থানাধীন আহমেদবাগের বাসাবো বালুরমাঠ সংলগ্ন সালাম ডেইরির বিপরীত পাশের একটি ভবনের স্থায়ী বাসিন্দা।

আনোয়ার সাত্তার বলেন, ৯৯৯ তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি সবুজবাগ থানায় জানিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করে। ৯৯৯-এর ডিসপাচার এসআই মো. মাহফুজুর রহমান ও ডিউটি টিম সুপারভাইজার ইন্সপেক্টর নুর মোহাম্মদ বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ এবং কলারের সাথে যোগাযোগ করে পুলিশি তৎপরতার আপডেট নিতে শুরু করেন।

তিনি আরও বলেন, ৯৯৯ থেকে সংবাদ পেয়ে সবুজবাগ থানার একটি পুলিশ দল ঘটনাস্থলে যায়। পরে সবুজবাগ থানার এসআই মো. মনির ৯৯৯-কে ফোনে জানান, তারা ওই শিক্ষার্থীর বাসায় গিয়ে তার পরিবারের সদস্যদের এ ঘটনা জানান। ইতোমধ্যে ওই শিক্ষার্থীর কয়েকজন সহপাঠীও সেখানে উপস্থিত হন। তারপর সবাই মিলে বুঝিয়ে শিক্ষার্থীকে তার রুম থেকে বের করে আনেন এবং তাকে তাৎক্ষণিকভাবে কাউন্সেলিং ও পরামর্শ দেন। 

ব্যক্তিগত, প্রেমঘটিত, পারিবারিক ও শিক্ষাগত বিভিন্ন ব্যাপারে ওই শিক্ষার্থী মানসিকভাবে হতাশাগ্রস্ত বলে তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে উল্লেখ করেছিলেন। ওই শিক্ষার্থীর জন্য পেশাদার পরামর্শ (কাউন্সেলিং) সেবা দেওয়ার ব্যবস্থা করতে পরিবারকে পরামর্শ দিয়েছে পুলিশ। 

এমএসি/এইচকে