আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় সংসদের শূন্য আসন ও নির্বাচন উপযোগী স্থানীয় সরকারসহ অন্যান্য ভোট শেষ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সেই অনুযায়ী প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিচ্ছে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি।

এদিকে স্থগিত থাকা ইউপি-পৌরসভা ও সংসদের শূন্য আসনে উপ-নির্বাচন ও স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের মেয়াদোত্তীর্ণ নির্বাচন নিয়ে বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বৈঠকে বসছে ইসি। 

ইসির কর্মকর্তারা বলছেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় নির্বাচন ভবনে কমিশনের ৮৫তম সভা অনুষ্ঠিত হবে। 

সভার আলোচ্য সূচির মধ্যে রয়েছে- কুমিল্লা-৭ শূন্য আসনের নির্বাচন, স্থগিত ৯ পৌরসভার নির্বাচন সম্পন্ন করা, প্রথম ধাপের স্থগিত করা ১৬৭টি ইউপির নির্বাচন সম্পন্ন করা, ইউপির দ্বিতীয় ধাপের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের কার্যক্রম গ্রহণ, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের মেয়াদোত্তীর্ণ নির্বাচন ও শূন্য পদে উপ-নির্বাচনের প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম গ্রহণ এবং বিবিধ। 

এছাড়াও করোনা পরিস্থিতি দেখে ইসির সভায় প্রথম ধাপের স্থগিত হওয়া ইউপি এবং স্থগিত থাকা ৯ পৌরসভার নতুন তারিখ এবং কুমিল্লা-৭ শূন্য আসনে উপ-নির্বাচন ও দ্বিতীয় ধাপের ইউপি ভোটের তফসিল নিয়ে আলোচনা করা হবে। বিভিন্ন নির্বাচনের তফসিল ও তারিখ ঘোষণা করা হতে পারে। এছাড়াও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়েও আলোচনা করা হবে।

নির্বাচন কমিশনের ৮৫তম সভার বিষয়ে ইসি সচিব হুমায়ুন কবীর খোন্দকার বলেন, স্থানীয় সরকারের সবগুলো নির্বাচন নিয়ে বৃহস্পতিবার বৈঠকে আলোচনা হবে। নির্বাচনের বিষয়ে কমিশন যেভাবে সিদ্ধান্ত দেবেন, সেইভাবে হবে। 

এর আগে ইসির ৮৪তম সভা শেষে ইসি সচিব জানান, ডিসেম্বরের মধ্যে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, ইউপি ও জেলা পরিষদসহ অন্যান্য নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।

ডিসেম্বরে নারায়ণগঞ্জ সিটি ভোট

গত ১১ আগস্ট থেকে নির্বাচন উপযোগী হয়েছে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন। ইসি জানিয়েছে, ২০১৬ সালের ২২ ডিসেম্বর এই সিটিতে ভোটগ্রহণ হয়। প্রথম সভা হয় ২০১৭ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি। ওই হিসাবে মেয়াদ শেষ হবে (প্রথম সভা থেকে পরবর্তী ৫ বছর) ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২ সালে। মেয়াদ শেষ হওয়ার পূর্ববর্তী ১৮০ দিনের মধ্যে সিটি নির্বাচন করার আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

স্থগিত ইউপি ও পৌরসভার ভোট

করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির মধ্যে সর্বশেষে ২১ জুন ভোট প্রথম ধাপে ২০৪ ইউপির নির্বাচন হয়। এ সময় ১৬৭ ইউপির নির্বাচন স্থগিত রাখা হয়। কমিশনের ৮৪তম সভায় সব আটকে থাকা ভোট ডিসেম্বরের মধ্যে করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। 

এরমধ্যে রয়েছে- খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও নোয়াখালীর ১৬৭ ইউপি এবং ৯টি পৌরসভা রয়েছে। এসব নির্বাচনের তফসিল হতে পারে।

সিলেট-৩ আসনের উপ-নির্বাচন ৪ সেপ্টেম্বর

গত ২৮ জুলাই সিলেট-৩ আসনের উপ-নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এর একদিন আগে আদালতের আদেশে ভোট স্থগিত করা হয়। 

ইসি সচিব হুমায়ুন কবীর খোন্দকার বলেন, আদালতের বাধ্যবাধকতা মেনে সিলেট-৩ উপ-নির্বাচন ৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে করতেই হবে। এ জন্যে ৪ সেপ্টেম্বরের উপ নির্বাচনের তারিখ পুনর্নির্ধারণ করেছে ইসি। 

তিনি জানান, নির্বাচনী প্রচার চালানো যাবে ১ সেপ্টেম্বর সকাল ৮টা থেকে ২ সেপ্টেম্বর সকাল ৮টার আগ পর্যন্ত।

এসআর/ওএফ