কথায় আছে, শখের তোলা ৮০ টাকা। কিন্তু কখনো কখনো অল্প টাকায় শখ পূরণের অভাবনীয় সুযোগ এসে কড়া নাড়ে দরজায়। হরিণ ভালোবাসেন এমন মানুষের জন্য তেমনই সুযোগ এসেছে এবার। মাত্র ৫০ হাজার টাকায় জাতীয় চিড়িয়াখানা থেকে কেনা যাবে শখের চিত্রা হরিণ। 

সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের (প্রাণিসম্পদ-২) এক প্রজ্ঞাপনে হরিণের এই দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মতির পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় চিড়িয়াখানার উদ্বৃত্ত প্রতিটি চিত্রা হরিণের বিক্রয় মূল্য ৭০ হাজার টাকার পরিবর্তে ৫০ হাজার টাকা নির্ধারণে সম্মতি প্রদান করা হলো। 

প্রসঙ্গত, ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত প্রাণী বিক্রি করছে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। এর আগে বেশ কিছু হরিণ বিক্রি করা হয়েছে ৭০ হাজার টাকা দামে।

২১০ দিনে চিড়িয়াখানায় জন্মেছে প্রায় ১৮০টি প্রাণী

বিধিনিষেধের সময় চিড়িয়াখানার প্রাণীগুলো ছিল দর্শনার্থীদের জ্বালাতন থেকে মুক্ত। একেবারে নিজেদের মতো করে সময় কাটানোর সুযোগ পেয়েছিল তারা। এ সময় নিশ্চিত করা হয়েছে তাদের খাবারের মান। রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য তাদের ইমিউনিটি সিস্টেমের দিকে নজর দেওয়া হয়েছে। তাই এ বছর জানুয়ারি থেকে জালাই মাস পর্যন্ত চিড়িয়াখানায় নতুন অতিথি জন্ম নিয়েছে প্রায় ১৮০টি প্রাণীর।

এগুলোর মধ্যে জলহস্তী একটি; গাধা ৩টি; বানার ২টি; ইম্পালা ২টি; জেব্রা ২টি; আফ্রিকান হর্স ৩টি; মায়া হরিণ ২টি; চিত্রা হরিণ ১৬টি; ইমু পাখি ১৭টি; ময়ূর রয়েছে একশর বেশি।

সর্বশেষ গত ১৬ আগস্ট চিড়িয়াখানার খাঁচায় দেওয়া হয়েছে দুটি বাঘ শাবককে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম পুরুষ বাঘ শাবকের নাম ‘দুর্জয়’ এবং মেয়ে বাঘ শাবকের নাম ‘অবন্তিকা’ রাখেন। 

১৪৭ দিন পর খুলেছে জাতীয় চিড়িয়াখানা

দীর্ঘ ১৪৭ দিন বন্ধ থাকার পর ২৭ আগস্ট সকাল ৯টা থেকে খুলেছে জাতীয় চিড়িয়াখানা। কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনেই দর্শনার্থীদের চিড়িয়াখানায় প্রবেশ করতে হবে বলে জানিয়েছে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ।

এর আগে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ২ এপ্রিল জাতীয় চিড়িয়াখানা সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়। সম্প্রতি সংক্রমণ কমে আসায় ২৭ আগস্ট থেকে পুনরায় খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এমএইচএন/এইচকে