জাতীয় পরিচয়পত্র অনুবিভাগটি (এনআইডি) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগে স্থানান্তরে টেকনিক্যাল কমিটি গঠন করে আদেশ জারি করেছে সুরক্ষা সেবা বিভাগ। গত ২৯ আগস্ট সুরক্ষা সেবা বিভাগের উপসচিব তরফদার মাহমুদুর রহমান স্বাক্ষরিত টেকনিক্যাল কমিটি সংক্রান্ত অফিস আদেশ জারি করা হয়।

নির্বাচন কমিশন (ইসি) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

অফিস আদেশে উল্লেখ করা হয়, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন কার্যক্রম নির্বাচন কমিশনের পরিবর্তে সুরক্ষা সেবা বিভাগে ন্যস্ত করার জন্য টেকনিক্যাল কমিটি গঠন করা হয়। এতে সুরক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিবকে (প্রশাসন ও অর্থ অনুবিভাগ) আহ্বায়ক করা হয়েছে। কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন- জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ ডাটা সেন্টার কোম্পানি লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একজন প্রতিনিধি (যুগ্ম-সচিবের নিচে নয়), প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একজন প্রতিনিধি, অর্থ বিভাগের একজন প্রতিনিধি (যুগ্ম-সচিবের নিচে নয়), তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের একজন প্রতিনিধি (যুগ্ম-সচিবের নিচে নয়), বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল এর পরিচালক (ডাটা সেন্টার) ও সুরক্ষা সেবা বিভাগের উপসচিব (বহিরাগমন-৫)।

কমিটির কার্যপরিধিতে বলা হয়েছে, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন কার্যক্রম নির্বাচন কমিশনের পরিবর্তে সুরক্ষা সেবা বিভাগে আনয়নের লক্ষ্যে কারিগরি বিষয় যাচাইপূর্বক স্থানান্তরের পদ্ধতি/প্রক্রিয়া সম্পর্কে  সুপারিশ প্রণয়ন; স্থানান্তর যোগ্য অবকাঠামো/জনবল চিহ্নিত করে স্থানান্তরের পদ্ধতি সম্পর্কে সুপারিশ প্রণয়ন; এতদসংক্রান্ত আনুষঙ্গিক বিষয়াদি; নির্বাচন কমিশন হতে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন কার্যক্রম সুরক্ষা সেবা বিভাগে হস্তান্তরের জন্য একটি সুপরিকল্পিত রোডম্যাপ প্রণয়ন ও কমিটি প্রয়োজনে সদস্য কো-অপ্ট করতে পারবে।

এর আগে, গত ১৭ মে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন কার্যক্রম ইসির পরিবর্তে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগে ন্যস্ত করার জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সচিব বরাবর চিঠি দেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক-১০ একেএম ফজলুর রহমান।

ইসি সূত্র জানায়, ২০০৭-০৮ সালে ছবিসহ ভোটার তালিকার কাজ শুরু করে নির্বাচন কমিশন। ভোটার তালিকার সঙ্গে এনআইডি দেওয়ার কাজটিও করে ইসি। ২০১০ সালে ইসির অধীনে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ একটি আইনগত ও প্রাতিষ্ঠানিক ভিত্তি পায়। ইসির সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, বর্তমানে দেশে ১১ কোটি ১৭ লাখ ২০ হাজার ৬৬৯ জন ভোটার রয়েছেন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ৫ কোটি ৬৫ লাখ ৯৮ হাজার ৫ জন, নারী ভোটার ৫ কোটি ৫১ লাখ ২২ হাজার ২২৩ জন ও ৪৪১ জন হিজড়া ভোটার রয়েছেন। প্রথম থেকে এনআইডি হারানো ও সংশোধন সংক্রান্ত সেবা বিনামূল্যে দিলেও ২০১৫ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে ফি নেওয়া শুরু করে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি।

এসআর/এমএইচএস