খুব কষ্টের টাকা ভাই, না পেলে আমার অবস্থা খুবই খারাপ হবে। অনেক দুশ্চিন্তায় আছি। আমি আর কিছুদিনের মধ্যেই টাকাটা পেয়ে যেতাম।

সজীব নামে ইভ্যালির এক গ্রাহক কথাগুলো বলতে বলতে কান্নায় ভেঙে পড়েন। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, সবার কাছ থেকে টুকটাক ধার করে, সমিতি থেকে টাকা নিয়ে আমি বিনিয়োগ করেছি। কিন্তু সব তো শেষ হয়ে গেল।

বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনের (প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান) বাসায় র‌্যাবের অভিযানের সংবাদ শুনে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন সজীব। সেখানে সজীবের মতো আরও কয়েকশ গ্রাহক অবস্থান করেন। তাদের সবার মধ্যেই এখন পণ্য বা টাকা ফেরত পাওয়া নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

আমাকে দুই দিনের মধ্যে টাকা দেওয়া হবে এমন আশ্বাস পেয়েছি উল্লেখ করে সজীব বলেন, আমি দুই-তিনদিন আগে তার (রাসেল) কাছে গিয়েছিলাম। তিনি বলেছেন দুই-তিনদিন পর টাকা পেয়ে যাব।

সজীব বলেন, জানুয়ারি মাসে তিন লাখ টাকার প্রোডাক্ট অর্ডার করেছি। আর কিছুদিনের মধ্যেই হয়তো আমার একটা কিছু হয়ে যেত। কিন্তু ভাই এখন আমি কী করব?

বৃহস্পতিবার বিকেলে মোহাম্মদপুরের নিলয় কমপ্রিহেনসিভ হোল্ডিংয়ের বাসায় (হাউজ ৫/৫এ, স্যার সৈয়দ রোড) অভিযান চালিয়ে রাসেল দম্পতিকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। 

অভিযানের সংবাদ শুনেই রাসেলের বাসার সামনে ভিড় জমাতে শুরু করেন গ্রাহকরা। এরপর তারা স্লোগানও দিতে থাকেন। ‘রাসেল ভাইয়ের কিছু হলে, জ্বলবে আগুন ঘরে ঘরে’- এমন সব স্লোগান দিয়ে রাসেলকে নিয়ে যেতে র‌্যাব সদস্যদের বাধা দেন তারা। অনেকে কান্নায় ভেঙে পড়েন।

এআর/একে/জেডএস/জেএস