মেডিকেল বর্জ্য (ব্যবস্থাপনা ও প্রক্রিয়াজাতকরণ) বিধিমালা ২০০৮ অনুসারে বর্জ্যসমূহ উৎসেই যথাযথভাবে পৃথক করে সঠিকভাবে ডিস্পোজাল (নষ্ট) করাসহ ৫ দফা দাবি জানিয়েছে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা), নাসফসহ ১৩টি সংগঠন।

শনিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) জাতীয় জাদুঘরের সামনে ১৫টি সংগঠন আয়োজিত ‘নামসর্বস্ব মেডিকেল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নয় ; মেডিকেল বর্জ্য ধ্বংসে কার্যকর ব্যবস্থাপনা চাই’ শীর্ষক এক মানববন্ধন থেকে এ দাবি জানানো হয়।

তাদের অন্য দাবিগুলো হচ্ছে : স্বাস্থ্য শিক্ষার সব শাখায় বিশেষ করে এমবিবিএস, নার্স এবং মিডওয়াইফ কারিকুলামে মেডিকেল বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা ও হাসপাতালে নিয়োজিত স্বাস্থ্য কর্মীদের নিয়মিতভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থা করা; স্বাস্থ্য বাজেটে মেডিকেল বর্জ্যকে নিরাপদ নিষ্কাশনের জন্য অর্থ বরাদ্দ রাখা; পরিবেশ অধিদফতর, স্বাস্থ্য অধিদফতর, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং সিটি করপোরেশন ও পৌরসভাসহ সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষকে সম্পৃক্ত করে এবং জনস্বাস্থ্যসহ পরিবেশ বিপর্যয়কে গুরুত্ব দিয়ে মেডিকেল বর্জ্য (ব্যবস্থাপনা ও প্রক্রিয়াজাতকরণ) বিধিমালা ২০০৮  সংশোধন করা এবং সকল মেডিকেল বর্জ্য সঠিকভাবে ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে ক্ষতিকারক সকল উপাদানসমূহ চিহ্নিত করে তা যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে গবেষণার ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা শহর, পৌরসভায় মেডিকেল বর্জ্য একটি বড় সমস্যা। যা পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। করোনাকালে এই সমস্যা আরও প্রকটভাবে দৃশ্যমান। ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালের বর্জ্য রাজধানীর চার পাশের নদীসহ হাসপাতালগুলোর সামনের খোলা ডাস্টবিন কিংবা নর্দমায় ফেলা হচ্ছে। রাজধানীর মেডিকেল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা থেকেই সারা দেশের অবস্থা সহজেই অনুমেয়।

বক্তারা আরও বলেন, একটি দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় মেডিকেল বর্জ্য যথাযথ ব্যবস্থাপনা কৌশল ও কার্যকর বাস্তবায়ন এবং জনস্বাস্থ্যের ওপর এর প্রভাব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশে স্বাস্থ্য খাতের কলেবর বেড়েছে, সেইসাথে ডিসপোজিবল/একবার ব্যবহারযোগ্য চিকিৎসা সামগ্রীর ব্যবহারও উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। ফলে প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ মেডিকেল বর্জ্য তৈরি হচ্ছে।

মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের (পবা) সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মো. আবদুস সোবহান, সম্পাদক এম এ ওয়াহেদ, পবার চেয়ারম্যান আবু নাসের খান, নাসফের সাধারণ সম্পাদক মো. তৈয়ব আলী, সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কে এম সিদ্দিক আলী, সহ-সভাপতি অলিভা পারভীন, গ্রাম বাংলা উন্নয়ন কমিটির নির্বাহী পরিচালক এ কে এম মাকসুদ প্রমুখ।

এমএইচএন/এসকেডি