৪২ হাজার রোহিঙ্গা নিতে রাজি মিয়ানমার : ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান বলেছেন, এখন পর্যন্ত ভেরিফায়েড ৪২ হাজার রোহিঙ্গা নাগরিককে মিয়ানমারে নিতে রাজি হয়েছে দেশটির সরকার।
বুধবার (২০ জানুয়ারি) সচিবালয়ে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এ তথ্য জানান।
বিজ্ঞাপন
প্রতিমন্ত্রী বলেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ৮ লাখ ২৯ হাজার রোহিঙ্গার তালিকা পাঠানো হয়েছিল। এরপর সেখান থেকে সাড়ে ৫ লাখের তালিকা পাঠানো হয় মিয়ানমার সরকারকে। সে দেশের সরকার ৪১ হাজার ৭১৯ জনকে শনাক্ত করেছে এবং তাদের নিতে রাজি হয়েছে।
মঙ্গলবার ঢাকায় বাংলাদেশ, মিয়ানমার ও চীনের পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের ত্রিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বিজ্ঞাপন
বৈঠক প্রসঙ্গে ডা. এনামুর রহমান বলেন, মিয়ানমার ও চীন সরকারের সঙ্গে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের ব্যাপারে সব বিষয়ে পজিটিভ আলোচনা হয়েছে।
'মিয়ানমার রিয়েলাইজ করেছে যে তাদের ফিরিয়ে নেওয়া দরকার। বাংলাদেশও ফিল করে তারা সম্মানের সঙ্গে নাগরিক অধিকার নিয়ে ফিরে যাক। চীন সরকারও চায় বাংলাদেশের উন্নয়নের স্বার্থে তাদের ফিরে যাওয়া উচিৎ'— বলেন তিনি।
যে তালিকাটা বাংলাদেশ সরকার দিয়েছে, ভেরিফায়েড হয়েছে সে তালিকা অনুযায়ী তারা ফেরৎ নিতে চায়। এ অবস্থায় গতকালকে মিটিংটি শেষ হয়েছে। আশা করছি পরবর্তী মিটিংয়ে আরও সমধান আসবে।
ডা. এনামুর রহমান, ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, গতকাল চীন, বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের যে সদিচ্ছা আমরা দেখেছি সবাই আশা করেছেন মার্চ-এপ্রিলের মধ্যে প্রত্যাবাসন শুরু হবে এবং আমরা ভালো একটি ফলাফলের আশা করছি।
এটাই কি শেষ (প্রত্যাবার্সন)-এমন প্রশ্নের জবাবে উপস্থিত থাকা মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোহসীন বলেন, যেহেতু এটা ওইসময়ে আলোচনাটা আর এগোয়নি, এজন্য সংখ্যাটা বাড়েনি। কিন্তু প্রক্রিয়া শুরু হলে বেড়ে যাবে। এতবড় একটি ম্যানেজম্যান্ট, তাদের এনে তালিকাটি করতে হচ্ছে। তবে এখন একটি সিস্টেমের মধ্যে চলে আসছে।
মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত বৈঠকে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে চীনের একজন ভাইস মিনিস্টার ও মিয়ানমারের পার্মানেন্ট সেক্রেটারি এ বৈঠকে যোগ দেন।
বৈঠক শেষে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন সাংবাদিকদের বলেছিলেন, রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে মিয়ানমারের অবস্থান কিছুটা নমনীয় হয়েছে। তাদের ফেরত পাঠানোর ব্যাপারে মিয়ানমার, বাংলাদেশ ও চীন একমত হয়েছে।
এসএইচআর/এসএম