অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে রাজধানীর মিরপুর-১১ ও পল্লবীতে  শুক্রবার দ্বিতীয়দিনের মতো অভিযান শরেু করেছে  ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। গতকাল  এ এলাকায় অভিযান ঘিরে পুলিশ ও এলাকাবাসীর মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। 

শুক্রবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে  অভিযান শুরু হয়েছে। ডিএনসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা এ এস এম মামুন জানিয়েছেন, গতকালের ঘটনার পর এই স্থানে সাপ্তাহিক ছুটির দিন অর্থাৎ শুক্রবার, শনিবারও উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

ডিএনসিসির আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা (অঞ্চল ২) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ এস এম সফিউল আজম ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদ মিরপুরের এই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করছেন।

গতকালের অভিযানে ৪ নম্বর সড়কের দুই পাশে প্রায় চার শতাধিক স্থায়ী, অস্থায়ী ও ভাসমান স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। এর মধ্যে কোনোটি টিনের আবার কোনোটি ইট-সিমেন্টের তৈরি পাকা ঘর, দোকান-পাট, তোরণ, শেডও ছিল।

ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম গতকাল সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অভিযানস্থলে উপস্থিত থেকে অভিযানে দিকনির্দেশনা দেন। আজও মেয়র উপস্থিত থেকে অভিযানের তদারকি করবেন।

দখলদারদের নোটিশ দেওয়ার বিষয়ে গতকাল মেয়র বলেন, সরকারের বৈধ জায়গা অবৈধভাবে দখল করে রাখলে নোটিশ ছাড়াই উচ্ছেদ করা হবে। নোটিশ দিতে গেলে ঢাকা শহরে কোনো কাজ করা যাবে না। অবৈধভাবে দখল করে রাখলে সে জন্য আমি কিংবা সিটি করপোরেশন দায়ী না, বরং যে দখল করে রেখেছে সে-ই দায়ী।

আতিকুল ইসলাম আরও বলেন, এই সড়কের পূর্ব ও পশ্চিমে দুই দিকেই রাস্তা প্রশস্ত করা হয়েছে, মাঝখানের এই অংশটুকু বাকি ছিল। এই সড়কটি একটি বাইপাস। এটি ওপেন করা হলে খুব সহজেই মিরপুর থেকে উত্তরার দিকে যাওয়া যাবে। এই সড়কের শেষ প্রান্তে থাকা ট্রাক স্ট্যান্ডও সরানো হবে ট্রাক স্ট্যান্ডের জন্য স্থায়ী ব্যবস্থা করা হবে।

এএসএস/এনএফ