গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে অনুষ্ঠিত ‘করোনা টিকার সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক আলোচনা সভা

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ভারত সরকারের দেওয়া উপহার হিসেবে ২০ লাখ ডোজ টিকা বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) দেশে এসেছে। তবে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খবর ছড়িয়েছে যে, এ টিকা প্রয়োগের পর ভারতেই পাঁচ শতাধিক মানুষের শরীরে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। ফলে জনমনে এখন করোনার চেয়ে টিকা নিয়েই বেশি ভয়।

এ অবস্থায় গণমাধ্যমের সামনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সবার আগে টিকা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী সবার আগে টিকা নিলে মানুষের মধ্যে আস্থা তৈরি হবে।

শুক্রবার (২২ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে অনুষ্ঠিত ‘করোনা টিকার সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, বাংলাদেশের জনগোষ্ঠীর বড় একটি অংশ দরিদ্র। তারা অনলাইন প্রযুক্তির সঙ্গে পরিচিত না। ফলে টিকার জন্য অ্যাপসে নিবন্ধন করা তাদের জন্য কঠিন। অ্যাপস পূরণের জন্য আরেকটি দালাল পক্ষ তৈরি হবে। বিড়ম্বনা দূর করতে জাতীয় পরিচয়পত্র ধরে টিকা দিলে কাজ অনেক সহজ হবে।

তিনি আরও বলেন, টিকা বৈজ্ঞানিকভাবে সত্য, সব মানুষের এটা নেয়া উচিত। প্রবীণ এ চিকিৎসক সরকারকে গবেষণা বাড়ানোর আহ্বান জানান।

আলোচনা সভায় করোনা বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সদস্য ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম বলেন, সাধারণত ফার্স্ট জেনারেশন টিকা নেওয়া হয় না। এখন আমাদের হাতে সময় কম থাকায় ফার্স্ট জেনারেশন টিকা নিতে হচ্ছে।

তিনি বলেন, রূপান্তরিত করোনাভাইরাসেও টিকার কার্যকরিতা থাকবে। তবে এ কার্যকরিতা ছয় মাসের বেশি থাকবে না।

আলোচনা সভায় এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ফার্মাকোলজিক্যাল সোসাইটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিচর্যা ও রোগ নিয়ন্ত্রণের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. জা‌কির হো‌সেন, উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মু‌হিব উল্লাহ খোন্দকার, গণস্বাস্থ্যের কেন্দ্রের গণমাধ্যম উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু প্রমুখ।

টিআই/এমএইচএস