সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম

রাজধানীতে ঘুরলে দেখা যায়, সব সড়কই কোনো না কোনোভাবে অবৈধভাবে দখল হয়ে আছে। প্রতিটি খালের দুই পাড়েও একই অবস্থা উল্লেখ ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, সময় এসেছে অবৈধ দখলের বিরুদ্ধে আমাদের শক্তিশালী হওয়ার।

শুক্রবার (২২ জানুয়ারি) দুপুরে মিরপুর ১১ নম্বরে উচ্ছেদ অভিযান পরিদর্শনে এসে মেয়র এ কথা বলেন।

মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, অনেক সময় দেখা যায় অবৈধ দখল উচ্ছেদের পর পুনরায় দখল হয়ে যায়। উচ্ছেদের পর আবার দখল হচ্ছে কি-না বিষয়টি মনিটরিং করতে ড্রোন ক্যামেরা ব্যবহার করা হবে। এ বিষয়ে আমি ইতোমধ্যে নির্দেশনা দিয়েছি। সব জায়গায় কিন্তু সব সময় যাওয়া যায় না। বিশেষ করে খালের দুই পাড় মনিটরিংয়ে ড্রোন ব্যবহৃত হবে।

তিনি জানান, মিরপুর ১১ নম্বরের ৩ নম্বর এভিনিউয়ের ৪ নম্বর সড়ক থেকে অবৈধ দখল উচ্ছেদ করে সুন্দর করে রাস্তা নির্মাণে ইতোমধ্যে ৩০ কোটি টাকার বাজেট অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

যোগাযোগের জন্য সড়কটির গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে আতিকুল ইসলাম বলেন, সড়কটি যোগাযোগের দিক থেকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সর্বনিম্ন ৬০ ফিট থেকে সর্বোচ্চ ৭৫ ফিট পর্যন্ত চওড়া করা হবে এ সড়ক। গতকাল ৮৫ শতাংশ উচ্ছেদ সম্পন্ন হয়েছে, আজ বাকিটা হবে। এরপরেও প্রয়োজন হলে আগামীকাল আবার অভিযান পরিচালনা করা হবে। অবৈধ দখলকারীরা যেই হোক না কেনো, কেউ ছাড় পাবেনা।

মিরপুরে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান

ডিএনসিসির আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা (অঞ্চল-২) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ এস এম সফিউল আজম ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদ মিরপুরের এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করছেন।

এর আগে বৃহস্পতিবারের অভিযানে ৪ নম্বর সড়কের দুই পাশে প্রায় চার শতাধিক স্থায়ী, অস্থায়ী ও ভাসমান স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। এর মধ্যে কোনোটি টিনের আবার কোনোটি ইট-সিমেন্টের তৈরি পাকা ঘর, দোকান-পাট, তোরণ, শেডও ছিল। ওইদিন উচ্ছেদ অভিযানের সময় এলাকাটিতে পুলিশ ও এলাকাবাসীর মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

এএসএস/এমএইচএস