মানবসম্পদ উন্নয়নে অবদান রাখায় জাইসকে রাষ্ট্রদূতের কৃতজ্ঞতা

বাংলাদেশের মানবসম্পদ উন্নয়নে বিশেষ করে সরকারি কর্মকর্তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে উচ্চশিক্ষায় বৃত্তি প্রদানসহ নানা কার্যক্রমের জন্য জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন সেন্টারের (জাইস) প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছেন জাপানে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ।

শুক্রবার (২২ জানুয়ারি) জাপানের বাংলাদেশ দূতাবাসে জাইস প্রেসিডেন্ট সাচিকো ইয়ামানো রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এসময় রাষ্ট্রদূত জাইস প্রেসিডেন্টের কাছে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।

রাষ্ট্রদূত জাইস প্রেসিডেন্টকে জানান, জাপানে উচ্চশিক্ষা শেষ করে জেডিএস ফেলোরা সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে সুনামের সঙ্গে কাজ করছে।

জেডিএস ফেলোরা তাদের অর্জিত জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে জাপান-বাংলাদেশ সম্পর্ক আরো শক্তিশালী করতে সাহায্য করবে বলে রাষ্ট্রদূত আশা প্রকাশ করেন।

চলতি বছর জেডিএস প্রোগ্রামের তৃতীয় পর্ব সমাপ্ত হবে। রাষ্ট্রদূত জেডিএস বৃত্তির চতুর্থ পর্ব যথাসময়ে চালু এবং এর পরিধি ও সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য জাইস প্রেসিডেন্টকে অনুরোধ করেন।

জাইস প্রেসিডেন্ট আশা প্রকাশ করেন, জাইস ও বাংলাদেশ দূতাবাস আরো গভীরভাবে সম্পৃক্ত থেকে কাজ করবে।

পরে তিনি মুজিববর্ষ উপলক্ষে দূতাবাসে স্থাপিত ‘বঙ্গবন্ধু কর্ণার’ পরিদর্শন করেন।

রাষ্ট্রদূত ইয়াসানোকে জাপানি ভাষায় প্রকাশিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ ও মুজিববর্ষের স্মারক উপহার প্রদান করেন।

এসময় জাইসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইশিরো জুন, উপ-পরিচালক সাকুরাই তাকিইউকি এবং দূতাবাসের ইকনমিক মিনিস্টার সৈয়দ নাসির এরশাদসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, ২০০১ সাল থেকে জাইস, জাপান সরকারের ওডিএ অর্থায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস, বিচার বিভাগ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের জন্য ‘হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট স্কলারশিপ বাই জাপানিজ গ্রান্ট এইড’ (জেডিএস) প্রদান করে আসছে।

প্রতি বছর ৩০ জন কর্মকর্তা জাপানের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে জনপ্রশাসন, অর্থনীতি, আইন, ফিন্যান্স ইত্যাদি বিষয়ে মাস্টার্স কোর্স সম্পন্ন করেন। এছাড়া সম্প্রতি জাইস জেডিএস ফেলোদের জন্য পিএইচডি প্রোগ্রামও চালু করেছে।

এখন পর্যন্ত মোট ৪১৭ জন কর্মকর্তা মাস্টার্স কোর্স এবং ৯ জন পিএইচডি কোর্সে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পেয়েছেন।

এনআই/এসআরএস