কিসের নির্মূল কমিটি, প্রশ্ন কাজী ফিরোজ রশীদের
দেশে আইন-আদালত থাকতে নাস্তিক নির্মূল কমিটি ও ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটি নামে দুটি সংগঠন রয়েছে উল্লেখ করে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ বলেছেন, কিসের নির্মূল কমিটি।
রোববার (২৪ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদের একাদশ অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাব আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এমন প্রশ্ন তোলেন।
বিজ্ঞাপন
ফিরোজ রশীদ বলেন, আমাদের কিছু সংগঠন আছে। একটি সংগঠন আছে নাস্তিক নির্মূল কমিটি। আরেকটি সংগঠন হচ্ছে ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটি। এই নির্মূল করার ক্ষমতা এদের কে দিয়েছে? আমি জানতে চাই। তুমি কে নির্মূল করার? আমার দেশে কোট-কাচারি আছে না? অনেক বিচার করেছে এই সরকার। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হচ্ছে, রাজকারদের বিচার হচ্ছে, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হচ্ছে, তোমরা নিজেরা পুলিশ প্রোটেকশনে থেকে এই ধান্দাবাজি করছ, এটা জনগণ বিশ্বাস করে না। আমি মনে করি এদেরকেই প্রতিরোধ করা দরকার।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে এই সংসদ সদস্য বলেন, অনুরোধ করব, এই সব সংগঠন-এইগুলো বন্ধ করুন। যাতে কেউ মানুষ নির্মূল করতে না পরে। কীসের নির্মূল কমিটি? আমাদের সমাজে একটা ক্যাটাগরি আছে।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী দিনরাত পরিশ্রম করছেন, মন্ত্রিপরিষদ সদস্যরা করছেন। এই অর্থ লুটপাট হয়ে যাচ্ছে। রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক সেক্টরগুলো একদম দুর্বল, নড়বড়ে এবং মুখথুবড়ে পড়েছে। এখান থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা নিয়ে মানুষ বিদেশে পাচার করে দিচ্ছে। এই ব্যাংকের ডিরেক্টর ওই ব্যাংক থেকে নেয়, ওই ব্যাংকের ডিরেক্টর এই ব্যাংকের থেকে নেয়। যখন একটি দল দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকে আত্মীয়-স্বজনের অভাব হয় না।
ফিরোজ রশীদ বলেন, এই টাকা কোথায় যায়? আমাদের এই যে টাকাগুলো চলে গেছে- সোনালী ব্যাংক, বাংলাদেশ ব্যাংক, জনতা ব্যাংক- এটা শুধু পিকে হালদারকে ধরলে হবে না। পিকে হালদার তো মাত্র চার হাজার কোটি টাকা নিয়েছে। কিন্তু এর পেছনে কারা আছে? এই হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে চলে গেল, বাংলাদেশ ব্যাংকের এক অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী এর সঙ্গে সরাসরি জড়িত। কারণ সব কিছু এখন অটোমেশন হয়ে গেছে। এর সঙ্গে কারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।
তিনি বলেন, করোনার শুরুতে প্রধানমন্ত্রী প্রথমেই সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছিলেন। যদি বন্ধ না করতেন একটা বিপর্যয়ের মুখে পড়তে হত। একটা ভয়াবহ বিপর্যয়ের হাত থেকে আমরা বেঁচে গেছি। শিশুরা আক্রান্ত হলে পরিবারের সবাই আক্রান্ত হয়ে যেত। আমার নির্বাচনী এলাকায় সব থেকে বেশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, তারা সবাই বলছেন, প্রধানমন্ত্রী সঠিক কাজ করেছেন।
তিনি বলেন, আমি বাড়ি গিয়েছিলাম, এই পদ্মা ব্রিজের ওখান দিয়ে আসলাম। যারা একদিন বলেছিল যে পদ্মা ব্রিজের টাকা চুরি হচ্ছে, ওয়ার্ল্ড ব্যাংক বলেছিল টাকা দেবে না। কোথায়, কে বলে টাকা চুরি করেছে।
এদিন রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাব আলোচনায় অংশ নেন সরকার দলীয় সংসদ সদস্য এ কে এম শাহজাহান কামাল, দীপঙ্কর তালুকদার প্রমুখ।
এইউএ/জেডএস