নির্বাচনী প্রচারণার সংগৃহীত ছবি

চলচ্চিত্রের বাজার মন্দা। এফডিসিতে শুটিংয়ের ব্যস্ততা নেই। তবে নির্বাচনী প্রচারণায় সাম্প্রতিক সময়ে ঢালিউড তারকাদের ব্যস্ততা চোখে পড়ার মতো। এরই ধারাবাহিকতায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে (চসিক) প্রচারণায় ব্যস্ত সময় কাটালেন ঢালিউডের একঝাঁক তারকা। এ সময় চারটি ট্রাকে উঠে এসব তারকা নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন।

রোববার (২৪ জানুয়ারি) চসিক নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরীর পক্ষে এ প্রচারণা চালান তারকারা। আচরণবিধি লঙ্ঘন করা তারকারা হলেন- চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস, মাহিয়া মাহি, অরুণা বিশ্বাস, তারিন জাহান, তানভীন সুইটি, বিজরী বরকতুল্লাহ, চিত্রনায়ক রিয়াজ, মীর সাব্বির ও সায়মন সাদিক।

বিমানে ওঠার সময় মাহিয়া মাহি, অপু বিশ্বাস, মীর সাব্বির, রিয়াজ ও সাইমন সাদিক, ছবি : সংগৃহীত

রোববার ঢাকা থেকে ইউএস বাংলার একটি ফ্লাইটে চট্টগ্রাম পৌঁছান এই ৯ তারকা। নৌকার পক্ষে ভোট চেয়ে বিকাল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চারটি ট্রাক নিয়ে চট্টগ্রামে একাধিক শোডাউন ও প্রচারণা চালান তারা।

ইসির প্রজ্ঞাপনে এ ধরনের প্রচারণাকে আচরণবিধি লঙ্ঘণ বলে অভিহিত করা হয়েছে। সিটি করপোরেশন আইন ২০০৯ অনুযায়ী, কোনো প্রার্থী বা তার পক্ষে কোনো রাজনৈতিক দল, ব্যক্তি, সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান বাস-ট্রাক, মোটরসাইকেল, নৌযান, ট্রেন বা কোনো যানবাহন নিয়ে মিছিল-শোডাউন করতে পারবে না।

এ বিষয়ে চসিক নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. হাসানুজ্জামান ঢাকা পোস্টকে বলেন, ব্যক্তি হিসেবে তারকারা প্রচারণা চালাতে পারেন। কিন্তু যদি ট্রাক ব্যবহার করে প্রচারণা বা শোডাউন করে থাকেন তাহলে এটা আচরণবিধি লঙ্ঘন হবে। তবে রোববার তারকাদের প্রচারণা বিষয়ে এখনও কেউ অভিযোগ করেনি বলে জানান তিনি।

ইসির যুগ্মসচিব এসএম আসাদুজ্জামান ঢাকা পোস্টকে বলেন, নির্বাচনী প্রচারণায় তো ট্রাক ব্যবহার করার বিধান নেই। যদি এরকম হয়ে থাকে তাহলে নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তার ব্যবস্থা নেওয়ার বিধান রয়েছে।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)-এর সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার ঢাকা পোস্টকে বলেন, এটা সরাসরি আইন বহির্ভূত কাজ। আমার প্রশ্ন হলো- এখন নির্বাচন কমিশনাররা কই? আমাদের প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) আমেরিকার সাথে এখানকার নির্বাচনের তুলনা করেন। আমেরিকার থেকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নাকি এখানে হয়। তাহলে এখন তারা কোথায়? তারা কি এগুলো দেখতে পান না?

নির্বাচন কমিশনের আইনে যা আছে-

শাস্তিযোগ্য অপরাধ : কোনো প্রার্থী বা তার পক্ষে কোনো ব্যক্তি নির্বাচনপূর্ব সময়ে বিধি লঙ্ঘন করলে অনধিক ৬ মাস কারাদণ্ড বা অনধিক ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হবেন।

প্রার্থিতা বাতিল : প্রার্থী বা তার নির্বাচনী এজেন্ট বিধি লঙ্ঘন বা লঙ্ঘনের চেষ্ট করলে মেয়র বা কাউন্সিলর নির্বাচিত হওয়ার অযোগ্য হতে পারেন। কমিশন এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক তদন্তের নির্দেশ দিতে পারবে। এছাড়া কমিশন তাৎক্ষণিকভাবে লিখিত আদেশ দিয়ে প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করতে পারবে।

এসআর/এইচকে