শীত-কুয়াশা-হিমেল হাওয়ায় কাটছে সময়
রংপুরে আলো জ্বালিয়ে চলছে যানবাহন - ঢাকা পোস্ট
গত কয়েক দিন কুয়াশা ভেদ করে সূর্যের দেখা পাওয়াই যেন মুশকিল হয়ে পড়েছিল। আজ কিছুটা পরিবর্তন দেখা গেছে। তবে শীত আর হিমেল বাতাস বইছেই। দেশের সব অঞ্চলেই শীতে কাঁপছে মানুষ। তাপমাত্রা রয়েছে ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে।
গত ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়া পরিস্থিতি বিশ্লেষণে দেখা যায়, দেশের কোথাও কোথাও রোদের ছোঁয়া মিলছে সকাল গড়িয়ে দুপুরে। রোদের দেখা দেখা পেতে অপেক্ষায় থাকতে হলেও হিমেল বাতাস থেমে নেই। এমন পরিস্থিতিতে শীতে কাতর দেশবাসী।
বিজ্ঞাপন
তাপমাত্রা আগামী দুই-একদিন এরকমই থাকবে। দুই-তিনদিন পর উত্তরে শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে।
আবহাওয়াবিদ আফতাব আহমেদ
বুধবার (২৭ জানুয়ারি) বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ আফতাব আহমেদ ঢাকা পোস্টকে জানান, আবহাওয়ার বিশেষ তেমন কোনো পরিবর্তন নেই। কুয়াশা কিছুটা কমেছে। তাপমাত্রা আগামী দুই-একদিন এরকমই থাকবে।
বিজ্ঞাপন
আবহাওয়াবিদ জানান, দুই থেকে তিনদিন পর দেশের উত্তরে মৃদু থেকে মাঝারি আকারের শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে। যা প্রায় সপ্তাহজুড়ে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সময়ে তাপমাত্রা বেশ কমে যেতে পারে। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজারহাট এলাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আগামী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দিন ও রাতের তাপমাত্রার তেমন কোনো পার্থক্য দেখা যাবে না। বরং রাতের তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। কোথাও কোথাও রাতের মধ্যভাগ থেকে শীতের তীব্রতা থাকবে চরমে।
ঢাকায় বাতাসের গতি ও দিক কিছুটা পরিবর্তন হয়েছে। উত্তর/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে বয়ে যাওয়া বাসাতের বেগ ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কি.মি. রয়েছে। আর গতকাল (মঙ্গলবার) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ঢাকায় বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৭৩ শতাংশ। আগামী পাঁচ দিনের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আর্দ্রতা সামান্য পরিবর্তন হতে পারে।
সিনপটিক অবস্থার তথ্য তুলে ধরে আবহাওয়া অফিস জানায়, উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তার আশপাশের এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে রয়েছে।
শীত, হিমেল হাওয়া আর কুয়াশার সাথে সন্ধি করেই সময় পার করতে হচ্ছে এখন। বৃদ্ধ ও শিশুদের বেশ কঠিন সময়ই যাচ্ছে। শীতে বাড়ছে ডায়রিয়াজনিত অসুস্থতা। এছাড়া ঠান্ডা এবং জ্বরও দেখা দিয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মাঘ মাস চলছে। এ মাস শেষ হলে শীতের তীব্রতা অনেকটাই কমে যাবে।
একে/এইচকে