স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে অংশ নিতে ইচ্ছুক জাভেদ প্যাটেল
সংগৃহীত ছবি
বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনে অংশ নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ ডেপুটি হাই কমিশনার জাভেদ প্যাটেল। সোমবার (২৫ জানুয়ারি) এক বার্তায় সিলেট সফরের অভিজ্ঞতা জানিয়ে তিনি এ আগ্রহের কথা জানান। বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর উদযাপনে অংশ নেওয়ার মাধ্যমে তিনি দুদেশের ব্যতিক্রমী বন্ধন উদযাপনের আশা ব্যক্ত করেন।
সিলেট প্রসঙ্গে ডেপুটি হাইকমিশনার বলেন, ‘বাংলাদেশের অন্যতম সুন্দর দেশ। যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক দিন দিন আরও বেশি সমৃদ্ধ হচ্ছে। সিলেট সফরে আসতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। এই শহরের অনেক ব্রিটিশ-বাংলাদেশির সঙ্গে আমার প্রত্যক্ষ যোগাযোগ রয়েছে। এখানে এসে সিলেটের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি সম্পর্কে গভীরভাবে জানতে পেরে আমার খুবই ভালো লাগছে।’
বিজ্ঞাপন
ঢাকায় দায়িত্ব পালনে আসা ডেপুটি হাই কমিশনার হিসেবে যোগদানের পর এ প্রথম সিলেট সফর করেন জাবেদ প্যাটেল। সফরে ডেপুটি হাই কমিশনার সিলেটের মেয়রসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় তিনি বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মাঝে বিদ্যমান বন্ধুত্বকে দ্বিপাক্ষিক উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে আরো সমৃদ্ধ করার উপর জোর দেন।
সফরের প্রথমদিন প্যাটেল সিলেট সিটি করপোরেশন মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাতে বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের জনগণের মধ্যকার দীর্ঘদিনের সু-সম্পর্ক বিষয়ক আলোচনার পাশাপাশি তারা যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশ সরকার, সিলেট সিটি করপোরেশন ও জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচির যৌথ উদ্যোগে সিলেট নগরীর দারিদ্র্য দূরীকরণ কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা করেন।
বিজ্ঞাপন
উল্লেখ্য, এ কর্মসূচিটির আওতায় সিলেট সিটি করপোরেশনের ১১ হাজার মানুষ কোভিড-১৯ বিষয়ক সচেতনতা, পুষ্টি ও জীবিকার জন্য অনুদানসহ নগরের দারিদ্র দূরীকরণের লক্ষ্যে বিভিন্ন সহায়তা পাচ্ছেন।
প্যাটেল সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার মো. মশিউর রহমান এবং সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি মফিজ উদ্দিন আহমদ পিপিএমের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন। পরে ব্রিটিশ কাউন্সিলের স্থানীয় অফিস পরিদর্শন করেন ও যুক্তরাজ্যের পরীক্ষা বিষয়ক প্রশাসনের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করেন।
সফরের দ্বিতীয়দিন প্যাটেল সিলেটের পর্যটন কেন্দ্র জাফলং ও খাদিমনগর চা বাগান পরিদর্শন করেন। পরে তামাবিল সীমান্ত পোস্টের ইমিগ্রেশন এবং শুল্ক কর্মকর্তাদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন তিনি।
এনআই/এমএইচএস