সরকার, জনগণ এবং এনজিও প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকাণ্ড সমন্বিত করে উন্নত স্বাস্থ্য ব্যবস্থা গড়ে তোলা জরুরি বলে উল্লেখ করেছেন আলোচকরা।

সোমবার (১৫ নভেম্বর) ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্টের কৈবর্ত সভাকক্ষে ‘স্বাস্থ্য উন্নয়নে হেলথ প্রমোশন ফাউন্ডেশন’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে আলোচকরা এ অভিমত ব্যক্ত করেন।

বক্তারা বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে অসংক্রামক রোগের প্রকোপ ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। প্রায় প্রতিটি পরিবারেই অসংক্রামক রোগে আক্রান্ত এক বা একাধিক রোগী রয়েছে। তাদের চিকিৎসা করাতে গিয়ে প্রতি বছর দেশের ৫২ লাখ মানুষ নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছে।

পরিসংখ্যান তুলে ধরে তারা বলেন, ২০১০ সালে জাতীয়ভাবে পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা যায়, ৯৮.৭ শতাংশ জনগণের মধ্যে অন্তত ১টি, ৭৭.৪ শতাংশর মধ্যে ২টি এবং ২৮.৭ শতাংশের  মধ্যে ৩টি অসংক্রামক রোগের (হৃদরোগ, স্ট্রোক, ক্যান্সার, ডায়াবেটিস) ঝুঁকি রয়েছে।

স্বাস্থ্য ভাল রাখার জন্য শুধু চিকিৎসা নয়, প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থার দিকেও গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন। একটি ‘হেলথ প্রমোশন ফাউন্ডেশন’ গঠনের মাধ্যমে দেশে স্বাস্থ্য উন্নয়নে রোগ প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা জোরদার করা সম্ভব। ‘হেলথ প্রমোশন ফাউন্ডেশন’ শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য অবনতির মূল কারণগুলো চিহ্নিত করে তা সমাধানে মনোযোগী হবে। যাতে মানুষ দীর্ঘদিন সুস্থভাবে জীবন অতিবাহিত করতে পারে।

বক্তারা আরও বলেন, বিশ্বের প্রায় ২৩টি দেশে হেলথ প্রমোশন ফাউন্ডেশন রয়েছে। এসব সংস্থাগুলো তাদের দেশের জনস্বাস্থ্য উন্নয়ন এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিতকরণে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করছে। নিকটবর্তী দেশ নেপাল, শ্রীলংকা, থাইল্যান্ডও এ ধরনের ফাউন্ডেশন গঠন করেছে। বাংলাদেশে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় আলাদা আলাদাভাবে চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়ে নিচ্ছে। ফলে প্রচুর সংস্থা তৈরি হচ্ছে। এ অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে সরকার, জনগণ এবং এনজিওদের কর্মকাণ্ড সমন্বিত করে স্বাস্থ্য উন্নয়ন কেন্দ্রিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থা গড়ে তোলা প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে হেলথ প্রমোশন ফাউন্ডেশন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্টের সিনিয়র প্রকল্প কর্মকর্তা জিয়াউর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রোগ্রাম ম্যানেজার সৈয়দা অনন্যা রহমান, পরিচালক গাউস পিয়ারী, নির্বাহী পরিচালক সাইফুদ্দিন আহমেদ, হেলথব্রিজ ফাউন্ডেশন অব কানাডার আঞ্চলিক পরিচালক দেবরা ইফরইমসন প্রমুখ।

এএসএস/এমএইচএস