জৈব সুরক্ষা বলয় ভেঙে মাঠে ঢুকে পড়া দর্শক রাসেলকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। কী কারণে ওই দর্শক মাঠের ভেতরে প্রবেশ করেছেন তা বিস্তারিত জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে তার বিরুদ্ধে ঠিক কী আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে তা এখনো ঠিক হয়নি বলে জানিয়েছে মিরপুর থানা পুলিশ।

শনিবার (২০ নভেম্বর) রাতে মিরপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুস্তাফিজুর রহমান ঢাকা পোস্টকে এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ঘটনার পরপরই রাসেলকে আমরা আটক করে থানায় নিয়ে এসেছি। ঠিক কী কারণে সুরক্ষা বলয় ভেদ করে তিনি মাঠে প্রবেশ করেছেন তা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে জানার চেষ্টা করছি। তবে আমরা প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছে সে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের খেলোয়াড় মোস্তাফিজের ভক্ত। মাঠে প্রবেশ করার পেছনে তার ভিন্ন কোনো উদ্দেশ্য ছিল কি না সেসব বিষয়ও আমরা জানার চেষ্টা করছি। থানায় আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও রয়েছেন। এ বিষয়ে ওই দর্শকের বিরুদ্ধে কী ধরনের আইনি পদক্ষেপ নেওয়া যায় তা আমরা খতিয়ে দেখছি। তবে এখনো নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না যে রাসেলের বিরুদ্ধে কী ধরনের আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

এর আগে রাসেলকে আটকের পর ঢাকা পোস্টকে মিরপুর মডেল থানার টহল পরিদর্শক মোহাম্মদ মাহফুজুল হক বকশি বলেন, ‘আইনগতভাবে যেটি ঘটার সেটিই ঘটবে। আমরা প্রথম যে কাজটি করেছি, ঘটনা ঘটার পরেই আমরা তাকে হেফাজতে নিয়ে নিয়েছি। আমাদের ডিসি স্যার ছিলেন, উনি সঙ্গে করেই থানায় নিয়ে গেছেন।’

নিরাপত্তা নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদের সিকিউরিটি লেভেল তো ভালোই ছিল। জৈব সুরক্ষা বলয়ের কারণে আমাদের যেখানে যেখানে প্রবেশ করা সম্ভব আমরা সব জায়গায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছি। ও মূলত টিকিট কেটেই ঢুকেছিল। ওর পরিকল্পনাই ছিল। ও মুস্তাফিজুর রহমানের পাগল ফ্যান। পরিকল্পনা করেই ঢুকেছিল। টিকিট কেটে তার জায়গাতেই ঢুকেছিল, হঠাৎ করে এই ঘটনাটি ঘটিয়েছে।’

জানা গেছে কুমিল্লা শহরে বাড়ি রাসেলের। ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ছাত্রের বাবার নাম জাকির হোসেন।

পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংস চলছে। ১৩তম ওভারের ব্যাট করছে পাকিস্তান। এমন সময় নর্দান গ্যালারির লোহার প্রাচীর টপকে হঠাৎই মাঠে ঢুকে পড়েন এক দর্শক। এসে সোজা মুস্তাফিজের পায়ের কাছে পড়ে চুমু খেতে থাকেন। পরে ওই দর্শককে সরান নিরাপত্তাকর্মীরা। মুস্তাফিজকে মাঠ থেকে তুলে নেওয়া হয়।

এমএসি/জেডএস