শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান বলেছেন, দীর্ঘমেয়াদি অপুষ্টি শ্রমিকের কর্মক্ষমতায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। জাতীয় অর্থনৈতিক উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করে। অন্যদিকে পুষ্টিকর খাবার শারীরিক বৃদ্ধি, মেধা বিকাশ ও যথাযথ কর্মক্ষমতার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

রোববার (২৮ নভেম্বর) রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ইম্প্রুভড নিউট্রিশনের সহযোগিতায় কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতর আয়োজিত ‘কর্মক্ষেত্র পুষ্টি কার্যক্রম : শিক্ষণ বিনিময়’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকার শুধু শ্রমিক নয়, সকল জনগণের অপুষ্টির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। বাংলাদেশের মানুষের পুষ্টির অবস্থার উন্নতির জন্য সরকার পুষ্টি নীতি-২০১৫ প্রণয়ন করেছে এবং দ্বিতীয় জাতীয় পুষ্টি কর্মপরিকল্পনা (২০১৬-২০২৫) গ্রহণ করেছে।

কারখানায় শ্রমিকদের যে নাস্তা দেওয়া হয়, সেগুলো যেন পুষ্টিকর হয় সেজন্য বিজিএমইএ এবং বিকেএমইএর নেতৃবৃন্দকে অনুরোধ জানান প্রতিমন্ত্রী।

তিনি বলেন, সকলে মিলে ১৭ কোটি মানুষকে পুষ্টির বেড়াজালে আটকাতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের উত্তরাঞ্চল থেকে মঙ্গাকে বিদায় করেছি, খাদ্য ঘাটতিকে দূর করেছি, মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছি। সরকার নীতি, প্রশাসনিক দক্ষতা ও রাজনৈতিক অঙ্গীকারের মাধ্যমে দেশের শুধু শ্রমজীবী মানুষই নয় সকল নাগরিকের অপুষ্টিজনিত ঘাটতি দূরীকরণের লক্ষ্য অর্জনে সক্ষম হবে।

সভাপতির বক্তব্যে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এহছানে এলাহী বলেন, স্বাস্থ্যই সম্পদ। আগামীতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরের মাধ্যমে পুষ্টি বিষয়ে শ্রমিকদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধিতে আরও বেশি বেশি প্রকল্প গ্রহণ করা হবে।

সেমিনারে কল-কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরের মহাপরিদর্শক মো. নাসির উদ্দিন আহমেদ, বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান, বিকেএমইএর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মনসুর আহমেদ, আইএলওর কান্ট্রি ডিরেক্টর তোমো পুতিআইনেন, ন্যাশনাল নিউট্রেশন সার্ভিসের লাইন ডিরেক্টর ডা. এস এম মোস্তাফিজুর রহমান, কল-কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরের যুগ্ম-মহাপরিদর্শক ডা. মো. মোস্তাফিজুর রহমান এবং গেইনের কান্ট্রি ডিরেক্টর ডা. রুদাবা খন্দকার বক্তব্য রাখেন।

এসএইচআর/এসকেডি