বিআরটিএর চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার বলেছেন, শিক্ষার্থীদের বাসে হাফ ভাড়ার দাবি বাস্তবায়ন শুরু হবে আগামীকাল থেকে। আমরা তাদের দাবিগুলো বাস্তবায়নের বিষয়ে শুরু থেকেই আন্তরিক। বাসে হাফ ভাড়ার দাবি অনেক পুরনো। এবার তা কার্যকর হচ্ছে। এ অবস্থায় শিক্ষার্থীদের আর আন্দোলন করার দরকার আছে বলে আমার মনে হয় না।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) প্রধান কার্যালয়ের সামনে শিক্ষার্থীদের অবস্থান বিষয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ঢাকা পোস্টকে এ কথা বলেন তিনি।

এর আগে মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে ৯ দফা দাবিতে বিআরটিএর প্রধান কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের ৯ দফা দাবি হলো :

১. দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে শিক্ষার্থীসহ সড়কে সব হত্যার বিচার করতে হবে ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

২. ঢাকাসহ সারা দেশে গণপরিবহনে (সড়ক, নৌ, রেলপথ ও মেট্রোরেল) শিক্ষার্থীদের হাফ পাস নিশ্চিত করে প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে।

৩. গণপরিবহনে নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে এবং জনসাধারণের চলাচলের জন্য যথাস্থানে ফুটপাত, ফুটওভার ব্রিজ বা বিকল্প নিরাপত্তা ব্যবস্থা দ্রুত নিশ্চিত করতে হবে।

৪. সড়ক দুর্ঘটনায় আহত যাত্রী এবং পরিবহন শ্রমিকদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসন নিশ্চিত করতে হবে।

৫. পরিকল্পিত বাস স্টপেজ ও পার্কিং স্পেস নির্মাণ ও যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। এক্ষেত্রে প্রয়োজনে কঠোর আইন প্রয়োগ করতে হবে।

৬. দ্রুত বিচারিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ও যথাযথ তদন্ত সাপেক্ষে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের দায়ভার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা মহলকে নিতে হবে।

৭. বৈধ ও অবৈধ যানবাহন চালকদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বৈধতার আওতায় আনতে হবে এবং বিআরটিএর সব কর্মকাণ্ডের ওপর নজরদারি ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।

৮. আধুনিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে ঢাকাসহ সারা দেশে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা অবিলম্বে স্বয়ংক্রিয় ও আধুনিকায়ন এবং পরিকল্পিত নগরায়ণ নিশ্চিত করতে হবে।

৯. ট্রাফিক আইনের প্রতি জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য বিষয়টিকে পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে এবং প্রিন্ট-ইলেকট্রনিক মিডিয়ার মাধ্যমে সচেতনতামূলক অনুষ্ঠান সম্প্রচার করতে হবে।

পিএসডি/এসকেডি