কুয়াশায় আচ্ছন্ন রাজধানী
সকাল ৯টা পর্যন্ত কুয়াশায় ঢাকা ছিলো রাজধানী, সঙ্গে কনকনে ঠান্ডা
ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন রাজধানী ঢাকা। সঙ্গে কনকনে ঠান্ডা। ছুটির দিন হওয়ার চাকরিজীবীরা বাসায় থাকলেও, পথে দেখা মিলেছে দিনমজুর ও পরিবহন শ্রমিকদের। শুক্রবার (২৯ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে হয়েছে গণপরিবহনগুলোকে। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কমছে কুয়াশা।
ঘন কুয়াশার কারণে সকাল থেকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে গাড়ি। দৃশ্যমানতা কম থাকায় দূরপাল্লার বাস-ট্রেন চলছে ধীর গতিতে। অনেকে জীবিকার তাগিদে নির্ধারিত সময়েই বেরিয়ে পড়েছেন রাস্তায়।
বিজ্ঞাপন
কলেজ ছাত্র বাদল হোসেন। জরুরি কাজের জন্য শীতের সকালে মোহাম্মদপুরের বাসা থেকে উত্তরার উদ্দেশ্যে বের হন তিনি। ঢাকা পোস্টকে বাদল বলেন, একদিকে ঘন কুয়াশা, আরেক দিকে প্রচণ্ড শীত। তবুও জরুরী কাজ থাকায় বের হয়েছি।
জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকায় বাতাসের গতি ছিল উত্তর-পশ্চিম উত্তর দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কি.মি.। গতকাল সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বাতাসের আপেক্ষিক আদ্রতা ছিল ৬০ শতাংশ। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগামী ৪৮ ঘণ্টা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা অনেকটাই অপরিবর্তিত থাকবে।
বিজ্ঞাপন
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ মো. হাফিজুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, দেশের উত্তর পশ্চিম অঞ্চল দিয়ে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আগামী কয়েকদিন তা অব্যাহত থাকবে। তবে এবারের শৈত্যপ্রবাহের সাথে বৃষ্টি নামার সম্ভাবনা নেই। আগামী ২৪ ঘণ্টায় শীতের তীব্রতা কিছুটা কমবে। এরপর আবার বাড়তে থাকবে।
এদিকে, ঘন কুয়াশার কারণে ভোর ৭টার পর থেকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল বন্ধ ছিল। সকাল ৯টায় কুয়াশা কিছুটা কমায় ফ্লাইট চলাচল পুনরায় স্বাভাবিক হয়।
বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, কুয়াশার কারণে ৭-৯ টার মধ্যকার ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার, নভোএয়ারের কক্সবাজার ও বিমান বাংলাদেশের চট্টগ্রামের ফ্লাইট ৯টার পর ছেড়ে যায়।
এছাড়াও কুয়াশায় সকালে চীনের হাঞ্জু থেকে আসা একটি কার্গো ফ্লাইট, কুয়েত, কলম্বো ও মস্কো থেকে আসা যাত্রীবাহী ফ্লাইট ঢাকায় নির্ধারিত সময়ের চেয়ে দেরি করে নেমেছে।
এর আগে ঢাকাসহ দেশের বেশিরভাগ অঞ্চলের বৃহস্পতিবারের (২৮ জানুয়ারি) সকালটাও ছিল কুয়াশায় ঘেরা। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কুয়াশা কেটে দেখা মিলে সূর্যের।
এসএইচআর/এমএইচএস