অনলাইন মাধ্যমে নারীপক্ষের সম্মেলন

নারীদের নিয়ে কাজ করা সংগঠন ‘নারীপক্ষ’র আয়োজনে দুই দিনব্যাপী জাতীয় নারী সম্মেলন ‘তবুও তরী বাইতে হবে’ শুরু হয়েছে।

শুক্রবার (২৯ জানুয়ারি) অনলাইন মাধ্যমে এ সম্মেলনের উদ্বোধন করা হয়। এ সময় ‘পথে এবার নামো সাথী পথেই হবে পথ চেনা’ গানটির সঙ্গে ‘নারীপক্ষ’র বিভিন্ন কর্মসূচির ভিডিও ক্লিপ প্রদর্শন করা হয়। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে নারী মুক্তি আন্দোলনের ধারণা ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের লক্ষ্যে এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সম্মেলনে কর্মজীবী নারীর কর্মসূচি ও নির্বাহী পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) সানজিদা সুলতানা বলেন, কৃষি কাজের ২১টি ধাপের মধ্যে ১৭টিই করে নারী। কিন্তু সেই কাজের কোনো স্বীকৃতি ও মূল্য নেই। কৃষক নারীদের ন্যূনতম মজুরি, প্রণোদনা, বার্ড এবং বিভিন্ন দুর্যোগে রেশনিং এর ব্যবস্থা অবশ্যই করা জরুরি।

বাংলাদেশ সেন্টার ফর ওয়ার্কার্স সলিডারিটির সভাপতি কল্পনা আক্তার বলেন, রানা প্লাজা ধসের পর পোশাক শিল্প কারখানাগুলোতে বিদেশি ক্রেতাদের চাপে কাঠামোগত যথেষ্ট উন্নতি হলেও কর্মস্থলে নারী শ্রমিকদের কম মজুরি, যৌন হয়রানি, শারীরিক নির্যাতন, যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও পদোন্নতি না হওয়া একটি চর্চায় পরিণত হয়েছে। এই অবস্থার উন্নয়নের জন্য যৌথভাবে আন্দোলন করতে হবে। যেসব নারীরা কেয়ার গিভিং কাজ করেন, তাদের সামাজিক সুরক্ষা কী হবে তা ভাবতে হবে এবং একটি ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করতে হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. তাসনীম সিদ্দিকী বলেন, অভিবাসন শুধু নারী শ্রমিককে নির্যাতন করে তা নয়। তাকে ক্ষমতায়িতও করে। এ বিষয়গুলো আমাদের ভাবতে হবে। অভিবাসন নারী শ্রমিকরা যাতে নিরাপদে স্বসম্মানে কাজ করতে পারেন সে বিষয়ে রাষ্ট্রকে সক্রিয় পদক্ষেপ নিতে হবে। কোনো নারী শ্রমিক নির্যাতনের শিকার হলে সেই দেশের শ্রম আদালতের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।

সিলেট উইমেন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি স্বর্ণলতা রায় বলেন, নারী উদ্যোক্তারা যাতে নিরাপদে চলাফেরা করতে পারেন সেজন্য যানবাহনের নিরাপত্তা খুবই দরকার, পাশাপাশি প্রতিটি জেলার কর্মজীবী নারীদের জন্য হোস্টেল থাকা জরুরি।

সম্মেলনে নারীপক্ষের সদস্য, কর্মী এবং সারাদেশ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এর সহযোগী সংগঠনের প্রতিনিধি, দুর্বার নেটওয়াকের্র সদস্য, সহযোদ্ধা, বন্ধু ও শুভানুধ্যায়ীসহ প্রায় ৫০০ জন অংশগ্রহণ করেন।

এএসএস/এফআর